Cancer Treatment: ক্যানসারের চিকিৎসায় আশার আলো! আইআইটি কানপুরের গবেষকরা আনলেন নতুন ওষুধ

বায়োমেডিক্যাল গবেষণার ক্ষেত্রে বাধা ভেঙে জি প্রোটিন-সংযুক্ত রিসেপ্টর এবং কেমোকাইন রিসেপ্টর ডি ৬-এর গবেষণায় এগিয়ে গেল  ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কানপুর। 

আইআইটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে,  ‘ইনস্টিটিউটের গবেষণায় ক্যানসার এবং আলঝাইমার, পার্কিনসন এবং স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতো মস্তিষ্কের ব্যধিগুলির সম্ভাব্য চিকিৎসা বোঝা সহজ হয়েছে। এই গবেষণাটি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনে আর জাঙ্ক ফুড নয়! মিলবে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার

‘যুগান্তকারী গবেষণাটি উপযুক্ত ওষুধের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের দরজা খুলে দিয়েছে যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে ক্যানসার এবং স্নায়বিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। এ প্রসঙ্গে আইআইটি কানপুরের পরিচালক অধ্যাপক এস গণেশ জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের রোগগুলি, যা প্রচুর দুর্ভোগ এবং খরচ সাপেক্ষ সেই রোগগুলির চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নতুন দিক খুলে যেতে পারে।’

আরও পড়ুন: শীতে রুক্ষতা দূর করতে মুখে মাখুন কফি! জেনে নিন ম্যাজিকাল কিছু টোটকা

মস্তিষ্কের কোষের পৃষ্ঠে, জি প্রোটিন-সংযুক্ত রিসেপ্টর (জিপিসিআর) যা ক্ষুদ্র অ্যান্টেনার মতো, মস্তিষ্কের যোগাযোগ এবং ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে। যখন এই রিসেপ্টরগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে যোগাযোগের সমস্যার কারণে আলঝাইমার এবং পার্কিনসনের মতো রোগ দেখা যায়।

আরও পড়ুন: সাবধান! ত্বকে ব়্যাশ হচ্ছে? এই পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হতে পারে

একইভাবে, কেমোকাইন রিসেপ্টর ডি ৬ মানব দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কাজ করে এবং ক্যানসারে, রিসেপ্টরটি টিউমার পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে, গবেষণার ফলাফলগুলি ব্যাখ্যা করেছে আইআইটি কানপুর।

আরও পড়ুন: ভাগ্য বদলাতে পারে আয়না! তবে অপরিষ্কার রাখলেই হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ, জেনে নিন

ইনস্টিটিউট দ্বারা নিবিড় বায়োমেডিক্যাল গবেষণার সাহায্যে, নতুন পদ্ধতি এবং চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি বিকাশ করা যেতে পারে, অবশেষে বিশ্বব্যাপী এই জাতীয় রোগদ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকৃত করে। রিসেপ্টরগুলির বিশদ ত্রিমাত্রিক চিত্র তৈরি করতে ক্রায়োজেনিক-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি (ক্রায়ো-ইএম) নামে একটি উচ্চ প্রযুক্তির পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ১৩ বছরের ছেলে ভাঙল ৩০ বছরের টেট্রিস গেমের রেকর্ড! দেখুন ভিডিয়ো

এই প্রক্রিয়াটি গবেষকদের আণবিক স্তরে রিসেপ্টরগুলির ৩ডি চিত্রগুলি অধ্যয়ন করতে এবং রোগের অবস্থার কারণ হওয়া এই রিসেপ্টরগুলির সমস্যাগুলি সংশোধন করতে নতুন ড্রাগের মতো অণু ডিজাইন করতে সাহায্য করে।