Deganga: কাঁধে ঝকঝকে ২টো তারা, দেগঙ্গায় গ্রেফতার হল পুলিশের ভুয়ো সাব ইন্সপেক্টর

পুলিশ আধিকারিক সেজে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার পুলিশ। সোমবার দেগঙ্গার কার্তিকপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। ধৃত নাদিম হোসেন নিজেকে পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা তুলত বলে অভিযোগ। গ্রেফতারির সময় ধৃতের পরনে ছিল পুলিশের উর্দি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক আসলে খড়দার বাসিন্দা। বছর কয়েক ধরে দেগঙ্গা থানা এলাকায় বসবাস করছিল সে। নিজেকে পরিচয় দিত বারাসত পুলিশ জেলার ওসি ট্রাফিক বলে। এই পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা তুলত সে।

দেগঙ্গার নুরনগরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নাদিমের ফাঁদে পড়ে ছেলের চাকরির জন্য ৪০ হাজার টাকা দেন। এর পর আরও টাকা দাবি করে ওই যুবক। কিন্তু নুরুল সাহেবের সন্দেহ হওয়ায় তিনি হাতে হাতে টাকা দেবেন বলে জানান। ডেকে পাঠান কার্তিকপুরে। সোমবার বিকেলে সেখানে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের উর্দি পরে হাজির হয় নাদিম। আগে থেকে সেখানে হাজির ছিলেন দেগঙ্গা থানার আধিকারিকরাও। তাঁরা যুবকের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে অপরাধ স্বীকার করে সে। এর পর অভিযুক্তকে আটক করে দেগঙ্গা থানায় নিয়ে যান আধিকারিকরা।

পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে। কলকাতা থেকে পুলিশের উর্দি কিনেছিল ধৃত। সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য এই ধরণের উর্দি খোলা বাজারে বিক্রি হয়। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকে পুলিশ আধিকারিক হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ না হওয়ায় পুলিশের ভেক ধরেন তিনি। তবে অভিযুক্তের এই যুক্তি মানতে নারাজ দেগঙ্গা থানা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণাই ছিল উদ্দেশ।