Mamata Banerjee: তৃণমূলকে ভয় পায়, তাই সাজিয়ে নাটক করে তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে: মমতা

তৃণমূলকে ওরা ভয় পায়। তাই সাজিয়ে নাটক করে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার জয়নগরের প্রশাসনিক সভা থেকে এমনই দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তাবড় আমলাদের মঞ্চে বসিয়ে এদিন বিজেপি ও সিপিএমকে আক্রমণ করেন তিনি। সরকারি সভা থেকে এমন রাজনৈতিক মন্তব্য কী করে করা যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সোনাদানা পেলে লোকে খুশি হয়। কিন্তু সোনাদানা তো লোকে খেতে পারে না। আর সোনাদানা রাখবেন কী, বাবাআআআ…। ওই ইঁদুর – চামচিকিরা যে ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনার অর্জিত পয়সা সব লুঠ করে নিয়ে যাবে। আর লুঠ করে নেওয়ার পরে সিজার লিস্টও পাবেন না। আমি আমার চিফ সেক্রেটারিকে বলব, রামপুরহাটের বগটুইয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল। আমি তো সবাইকে চাকরি আর টাকা দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া তাদের ঘরবাড়ি থেকে যে জিনিসগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল। যে টাকা পয়সাগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল। সিজার লিস্ট দেওয়া হয়নি। তাদের টাকাগুলো উদ্ধার হয়েছে কি? চিটফান্ডের নাম করে অনেক লোককে গ্রেফতার করেছেন। করতেই পারেন। চিটফান্ডকে আমরা কেউ সাপোর্ট করি না। কিন্তু মানুষের টাকা ফেরত দিলেন কোথায়? ১২ সালে আমরাই প্রথম গ্রেফতার করেছিলাম সারদার মালিককে। আমরা তো ২০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম সাধারণ মানুষকে। আপনারা তো ওদের সব সম্পত্তি নিয়ে নিলেন। সেগুলো বেচে গরিব মানুষকে তার টাকা ফেরত দিয়েছেন কি আজ পর্যন্ত’?

সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘চিটফান্ডকে নিয়ে এসেছিল কারা? সিপিএম দল। সিপিএম দলের একটা কেউ গ্রেফতার হয়েছে? হয়নি। সব ব্যাপারে তৃণমূল। গরুও তৃণমূল, কয়লাও তৃণমূল, ময়লাও তৃণমূল, গাছের ঘাসও তৃণমূল। হোয়াট ইজ দিস’?

এর পরই নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নামে ভয় পায়। তৃণমূলকে দেখলে কাঁপে। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাজিয়ে নাটক করে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভাবছে ভোটের আগে সবাইকে গ্রেফতার করি। তাহলে এলাকা খালি হয়ে যাবে। আর পুরো বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে ওখানে। অত সোজা নয়। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি আমরা ছাড়ব না।

এদিন উপস্থিত জনতাকে মমতা বলেন, ‘চারিদিকে নজর রাখুন, সব সাধু কিন্তু সাধু নয়। সব চোর চোর নয়’।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘চোরেদের সরদার যে চোরেদের পাশে দাঁড়াবেন এতে আর আশ্চর্য কী? মমতার পরিকল্পনাতেই রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে। কোন দিন না ঘোষণা করে দেয় চোরদের আর চোর বলা যাবে না।’