Ration Scam: ক্যুইন্টালে ২০ টাকা, ফিক্সড রেটে নগদে কাটমানি নিতেন বালু, আদালতে জানাল ED

রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল ED. ইডির দাবি, পদাধিকার ব্যবহার করে চালকল মালিকদের থেকে নগদে কাটমানি নিতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কাটমানির দরও ছিল বাঁধা। ক্যুইন্টালপ্রতি ধানে ২০ টাকা পৌঁছে দিতে হত মন্ত্রীর ঘরে।

তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মেরুন ডায়েরি। সেই ডায়েরির তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, চালকল মালিকদের থেকে নগদে কাটমানি নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। বাকিবুর সেকথা স্বীকার করেছেন। স্বীকার করেছেন বাকিবুরের NPG রাইস মিলের এক আধিকারিকও।

ইডি জানিয়েছে পদাধিকারবলে রাজ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। সেই পদকে ব্যবহার করে চালকল মালিকদের থেকে কোটি কোটি টাকা কাটামনি তুলেছেন তিনি।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের FCIএর সাহায্যে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার টন ধান ক্রয় করে। ২০২৩ সালে অক্টোবর পর্যন্ত ধান ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৪৭ হাজার মেট্রিকটন। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। কী বিপুল পরিমাণ কাটমানি তুলেছেন জ্যোতিপ্রিয়।

তদন্তকারীদের অনুমান, এই টাকার একটা বড় অংশ শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। এছাড়া দেশে বেনামে বিনিয়োগ হয়েছে সেই টাকা। টাকার উৎস খুঁজতে আপাতত মরিয়া ইডির তদন্তকারীরা।

গত ২৭ অক্টোবর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ED. তার পর উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। কী ভাবে বছরের পর বছর গরিবের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে তা আদালতে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।