আবার মন্ত্রিসভায় ফিরলেন যারা

সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, তবে অতীতে মন্ত্রিপরিষদে ছিলেন— এমন পাঁচ জন নতুন মন্ত্রিসভায় ফিরে আসছেন। অতীতে বিভিন্ন সময় তারা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তারা হলেন— সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), সাবেক নৌপরিবহন ও স্থানীয় সরকার উপমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯) এবং সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩)।

গোপালগঞ্জ-১ আসনে (মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর একাংশ) টানা ছয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। পরে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রোলয়ের মন্ত্রী হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

দশম জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নবম সংসদে তিনি কিছুদিনের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা চার বার দিনাজপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন।

খুলনা-৫ আসনের এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এর আগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। কিছু দিন পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যু হলে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এবার তিনি আবার পূর্ণ মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী সপ্তম জাতীয় সংসদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একাদশতম জাতীয় সংসদে তিনি তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। এবার তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। এর আগে একই আসনে ২০০৮ সালে ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

এবার মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন—আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১),ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), আনিসুল হক (বাহ্মণবাড়িয়া-৪), মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন।

প্রতিমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন—বেগম সিমিন হোমেন রিমি (গাজীপুর-৪), নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩), জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭), মো. মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), বেগম রুমানা আলী (গাজীপুর-৩), শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২) এবং আহসানুল ইসলাম টিটু (টাঙ্গাইল-৬)।