Lakshadweep Air Tickets: মলদ্বীপ অতীত, পর্যটকরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন লাক্ষাদ্বীপে, মার্চ পর্যন্ত বিমানের সব আসন ভর্তি

মলদ্বীপ অতীত। এবার শুধুই লাক্ষাদ্বীপ। এদিকে লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসন পর্যটকদের স্বাগত জানাতে একেবারে নানা আয়োজন করছে। একাধিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ই পারমিট ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অনলাইনে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কিছু এলাকায় আগে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি ছিল না। সেই নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

এদিকে আগে পর্যটকরা এমনকী ভারতীয় পর্যটকদের ব্যাঙ্কে ২০০ টাকা করে ফি দিতে হত। এন্ট্রি পারমিট হিসাবে এটা করতে হত। তবে এবার সেক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক পদ্ধতি করা হচ্ছে। এবার থেকে একদিন বা দুদিনের মধ্য়েই গোটা প্রসেসটা করা হচ্ছে।

এদিকে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক তুলেছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তারপর থেকেই লাক্ষাদ্বীপ যাওয়ার জন্য় একেবারে চরম উৎসাহ পর্যটকদের। সূত্রের খবর, আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত ওই রুটের বিমানের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

এমনকী যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক অতিরিক্ত ফ্লাইটও করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মলদ্বীপগামী অন্তত ৬০টি সাপ্তাহিক ফ্লাইট রয়েছে বলে খবর।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপের অতিরিক্ত জেলাশাসক গিরি শঙ্কর টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, বর্তমানে যে আগাত্তি এয়ারপোর্ট রয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই মিনিকয়তে একটা গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট তৈরির ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, এই বিমানবন্দরটি উত্তরদিকে সম্প্রসারণের চেষ্টা করা হবে। মূলত যাতে বড় প্লেনগুলি নামতে পারে সেকারণেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সি প্লাটফর্মও থাকবে।

এদিকে বর্তমানে পরিস্থিতিতে বড় বিমান লাক্ষাদ্বীপে না নামালে এত পর্যটক যাবেন কীভাবে? এদিকে ছোট বিমানের দুটি মূল সমস্যা রয়েছে। একদিকে এই বিমানে যাত্রী সংখ্য়া তুলনায় অনেকটাই কম হয়। আবার এই বিমানের ভাড়াও বড় বিমানের থেকে বেশি হয়। কিন্তু বড় বিমান নামাতে গেলে আবার রানওয়ের সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। সেকারণেই পর্যটকদের আনাগোনা আচমকা বেড়ে যাওয়ায় রানওয়ে সম্প্রসারণের উপর জোর দিচ্ছে লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসন।

কিন্তু কেন আচমকা মলদ্বীপ ছেড়ে লক্ষদ্বীপ যাওয়ার প্রতি এত আকাঙ্খা?

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে ‘মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ’ বিতর্ক। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই মোদী এবং ভারতকে নিয়ে আপত্তিজনক কিছু মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী। এরপর থেকেই ওঠে মলদ্বীপ বয়কটের রব।

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় ইতিমধ্যেই মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। এদিকে বলিউড তারকা থেকে শুরু করে ভারতের তাবড় শিল্পপতি, ক্রিকেটাররা মলদ্বীপের বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এর বদলে লাক্ষাদ্বীপ কিংবা ভারতের অন্যান্য আরও সুন্দর সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।

তবে সম্প্রতি মলদ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স এবার ইজি মাই ট্রিপের সিইও নিশান্ত পিত্তিকে চিঠি দিয়েছেন। আর সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে সম্পর্ক আবার মেরামত করার আহ্বান। তাঁরা চান আবার ভারতীয় পর্যটকরা আসুন মলদ্বীপে।