Mamata Banerjee writes letter: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে একধিক প্রশ্ন তুলে কমিটিকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

লোকসভা ভোটের আগে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পক্ষে জোরদার তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে এই নীতিতে। এই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির তীব্র আপত্তি জানিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক দেশ এক ভোট নীতি কী ভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের এই কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্রকে চিঠি লিখেছেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চেয়েছেন, এক দেশ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে। সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক কিংবা ঐতিহাসিক পটভূমিতে একদেশের অর্থ আমরা বুঝি। কিন্তু ভারতের সংবিধানের শর্ত অনুযায়ী এক অর্থ আমাদের বোধগম্য নয়।

তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, সংবিধানে কি এক দেশ এক এক সরকারের নীতি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে? তিনি লিখেছেন, ‘ভারত আসলে একটা যুক্তরাষ্ট্র কোথাও এক দেশ এক সরকারের কথা বলা নেই। এই মৌলিক বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এক দেশ এক ভোটের কথা ভাবা যায় না। ‘

এ নিয়ে মমতার আরও প্রশ্ন, ‘লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের নির্বাচন করবেন কী করে? ১৯৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় কিছুদিন তা হয়। কিন্তু রাজ্য ও জাতীয়স্তরে নানা পালাবদলের কারণে সেই তালমিল ভেঙে গিয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, যে সব রাজ্যে মানুষ পাঁচ বছরের জন্য কোনও সরকারকে নির্বাচিত করেছে, তা হঠাৎ করে ভেঙে দেওয়া অনৈতিক হবে। তা হয় না কি!

তিনি যে ভাবে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়া নিয়ে হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, একটি সিদ্ধান্ত উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, তা অস্বীকার করে, কোনও রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেই এই কমিটিতে রাখা হয়নি।

তিনি লিখেছেন, এই ধারনা আমাদের স্বৈরতন্ত্রের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করতে চাইছে স্বৈরাতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তিনি এই স্বৈরাচারের বিরোধিতা করেন এবং এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগেও তৃণমূল এই এক দেশ এক ভোট নীতির বিরোধিতা করেছে। লোকসভা ভোটের আগেও সেই বিরোধীতা আরও একবার জানালেন তৃণমূল সভানেত্রী।