Rajnath Singh: নিয়ম-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা জোরদারে ব্রিটেনের উচিত ভারতের সঙ্গে থাকা: রাজনাথ সিং

ব্রিটেন ও অন্যান্য সমমনা দেশগুলির উচিত স্থিতিশীল বৈশ্বিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলাকে শক্তিশালী করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে বৃহস্পতিবার এই বার্তা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

২২ বছর পর প্রথমবার ব্রিটেন সফরে গেলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বাড়ি ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে একটি বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

পরে রাজনাথ সিং দেখা করেন, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্যাপস এবং বিদেশ সচিব ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে।

রাজনাথ সিং একবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টার কথা সুনাককে বলেন এবং তিনি উল্লেখ করেন যে দেশের অর্থনীতি ‘স্থীতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে’। তিনি বলেন, দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং একটি ব্যবসা-বান্ধব কাঠামো স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। রাজনাথ সিং বলেন, বিশ্বস্তরে ভারত সরকার ‘নিয়ম-ভিত্তিক বিশ্বশৃঙ্খলাকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের মতো বন্ধুদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত’।

পরে রাজনাথ সিং এক্স পোস্টে লেখেন, সিং এক্স-এর একটি পোস্টে যোগ ‘আমরা প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা জোরদার করার জন্য কীভাবে (আমরা) একসঙ্গে কাজ করতে পারি সে সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তিনি যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে সামরিক-সামরিক সম্পর্ক-সহ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নতির দিকে ইঙ্গিত করেন। 

(পড়ুন। গরীব মানুষের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে রাজীব গান্ধীর হাত থেকে রক্ত ঝরছিল, দাবি পিত্রোদার, কটাক্ষ বিজেপির)

প্রধানমন্ত্রী সুনক বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তিতে যুক্তরাজ্য ও ভারতের একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিং-এর সঙ্গে একমত হন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শীঘ্রই একটি ‘সফল সমাপ্তিতে’ পৌঁছবেন। 

সুনক বলেন, ব্রিটেন ভারতের সঙ্গে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক এবং প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বের গড়ে তুলতে আগ্রহী। 

ভারত ও ব্রিটেন প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের অক্টোবরের মধ্যে এফটিএ চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছিল কিন্তু মূল বিষয়গুলিতে মতবিরোধের কারণে সময়সীমা পূরণ করতে পারেনি। উভয় পক্ষই প্রস্তাবিত চুক্তির ২৬টি অধ্যায়ের বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হতে সক্ষম হয়েছে, যদিও অ্যালকোহল ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের শুল্ক এবং পেশাদারদের আদানপ্রদানের মতো বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।