দক্ষিণেশ্বরে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে জমির প্রয়োজন, রাজ্য সরকারের দুয়ারে মেট্রো‌

দক্ষিণেশ্বর প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণের প্রয়োজন আছে। এটা এখন অনুভব করছেন মেট্রোর কর্তা থেকে ইঞ্জিনিয়াররা। কলকাতা মেট্রো এখন সরাসরি কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যায়। বিপরীত দিকেও তাই ঘটে। কিন্তু এই পরিষেবা যাতে নিরবচ্ছিন্ন রাখা যায়, কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেটার জন্য দক্ষিণেশ্বের মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা আছে। এমনটাই মনে করেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা। এই আবহে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের করার জন্য প্রয়োজনীয় জমির জোগান পেতে চায় মেট্রো রেল। তাই এবার রাজ্য সরকারের উপরেই ভরসা করছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নির্মাণে ত্রুটি ছিল বলে একটি তথ্যে উঠে এসেছে। আর তার জন্যই কলকাতা মেট্রোর নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত অংশে নানা সমস্যা দেখা দেয় বলে সূত্রের খবর। কখনও বরাহনগর স্টেশন ছেড়ে ট্রেন দক্ষিণেশ্বরে ঢোকার মুখে সিগন্যালে সমস্যা হয়। আবার কখনও দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে ঢোকার মুখে থার্ড লাইনের গোলমাল হওয়ার জেরে মেট্রো পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেন মেট্রোর অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা গোটা বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্তে এসেছেন, এই স্টেশনে মেট্রো রেলের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য অনেকটা বাড়াতে পারলে নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রাংশ সুন্দরভাবে কাজ করবে। আর তাতেই পরিষেবা নির্বিঘ্নে দেওয়া যাবে।

অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয় কলকাতার মেট্রো ভবনে। বৈঠক শেষে এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেন, ‘দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মকে আরও ৯০ মিটার বাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। স্টেশনটি এলিভেটেড হওয়ার জন্য আমাদের পিলার বসিয়ে তার উপর প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণ করতে হবে। তবে তার জন্য আমাদের কিছুটা জমি লাগবে। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সেই জমি চেয়ে আবেদন করেছি।’ রাজ্যের দুয়ারে জমির আবেদন নিয়ে নবান্ন থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে যেভাবে অন্যান্য জায়গায় জমি দেওয়া হয়েছে সেভাবে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ দশদিনে পরিবহণ দফতরের কোষাগারে ঢুকল ১০০ কোটি টাকা, কোন পথে আয় বাড়ল?

এছাড়া এই সম্প্রসারণ এবং গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নকশা তৈরি হয়েছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। কোথায় ঠিক জমিটি লাগবে সেটা নবান্নকে জানানো হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরে জমি লাগবে এটা একেবারে নিশ্চিত। জেনারেল ম্যানেজার এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। মেট্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও জবাব মেলেনি বলে জানিয়েছেন মেট্রোর কর্তারা। তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে ওঁরা আশাবাদী।