Calcutta HC on SSC Panel: মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে নাম থাকলে কি চাকরি বৈধ? বড় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে যদি কোনও চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পেয়ে থাকেন, তাহলে কি সেই নিয়োগ বৈধ? এই সংক্রান্ত কোনও রায় না দিলেও গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাই কোর্ট। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বকর পর্যবেক্ষণ করেছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ তালিকায় নাম থাকা চারকিপ্রার্থীর নিয়োগ বৈধ হতে পারে না। (আরও পড়ুন: মমতার শাড়ির দাম নিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর, কথা উঠল মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে)

আরও পড়ুন: এবছর কত ভক্ত এলেন গঙ্গাসাগরে? তীর্থযাত্রীরা ফিরতেই সাফাই অভিযানে খোদ মন্ত্রীরা

এর আগে সোমবার এসএসসি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিল, কেউ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বলে অবৈধ ভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি ছ’মাসের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই শুনানি হচ্ছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ বেঞ্চে। এর আগে সমস্ত নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে সেই নির্দেশে স্থগিতাদের দেওয়া হয়। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে কাজ করছিলেন, তাঁরা আবেদন করেন কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করে তাদের চাকরি রাখা হোক। কারণ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মমতার, সরকার এবার পাড়াতেই, কী পরিষেবা মিলবে এতে? প্রকল্প চলবে ক’দিন?

এর আগে গত ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করে এসএসসি জানিয়েছিল, শুধুমাত্র ২০১৬ সালে এসএসসি-র তিনটি পরীক্ষায় মোট ৮৬১১টি পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে এই দুর্নীতি হয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী, এর মধ্যে গ্রুপ ডিতে ২৮২৩টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭৪১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। যারা সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল। ১৪১ জন সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। গ্রুপ সি নিয়োগে ৩৪৮০টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। তার মধ্যে ৭৮৫ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৮৩ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে। সুপারিশ ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন ৫৭ জন। এদের প্রত্যেকেই চাকরি করছেন। এছাড়া নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এদের মধ্যে ৮০৮ জন চাকরি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০৭ জনকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করেছে এসএসসি। ৩৩ জন এখনও চাকরি করছেন। একাদশ-দ্বাদশে ৯০৭টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭১ জন চাকরি করছেন। র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি করছেন ৩৯ জন। এদের কাউকে বরখাস্ত করেনি এসএসসি।