Sub inspector transfer: লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের একাধিক জেলায় বদলি ৩৩৩ জন সাব ইন্সপেক্টর

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিভাগের সরকারি আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আইপিএস অফিসারদেরও বদলি করা হয়েছে। এবার ফের একাধিক জেলায় সাব ইন্সপেক্টর পদে বিশাল রদবদল করা হল। বুধবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এনিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করে বিভিন্ন জেলার ৩৩৩ জন এসআইকে রদবদল করা হয়েছে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য পুলিশে একাধিক রদবদল, কোন কোন পদে বদলি?

জানা গিয়েছে, আসানসোল, বীরভূম, দুর্গাপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া পুরুলিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের এভাবে রদবদল করা হয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে একই পদে থাকা সরকারি পদাধিকারীদের স্থানান্তর করতে হবে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সরকারি অন্যান্য বিভাগের আমলা, কলকাতার পুরসভার কমিশনার, সেক্রেটারি সহ একাধিক তাবড় আমলার বদলির বিষয়ে অবগত করা হয়। যদিও রাজনৈতিক মহলে লোকসভা ভোটের আগে এই রদবদল নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, এটি রুটিন বদলি। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য পুলিশে ১৯৫ অফিসারের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার প্রশাসনিক মহলে বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। 

উল্লেখ্য, রাজনীতির দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। এই জেলাতেই রয়েছে হাইভোল্টেজ নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এই বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা ভোটের আগে এই বদলি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে মার্চ মাসে রাজ্য পুলিশ আধিকারিকদের রদবদল হয়। মোট ৫১ জন পুলিশ আধিকারিককে বদল করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধরকেও সেই সময় বদলি করা হয়েছিল। 

গত অগস্টে আরও ৪ আইপিএস অফিসারকে বদলি করা হয়েছিল। তারপরে সেপ্টেম্বরে বদলি করা হয়েছিল ৩১ জন আইপিএস অফিসারকে। রাজ্য পুলিশে সোমবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার, এসডিপিও পদে একাধিক রদবদল দেখা যায়। রাজ্য পুলিশে এই আচমকা রদবদলের তথ্য এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল। আর এবার ৩৩৩ জন সাব ইন্সপেক্টরকে বদলি করা হল। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অন্যান্য জেলাতেও রদবদল অব্যহত থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।