Moon Sniper: পালকের মতো চাঁদের মাটিতে নেমে এল জাপানের মুন স্নাইপার, কী নিয়ে গবেষণা?

এবার চাঁদে মহাকাশযান পাঠাল জাপান। জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি( JAXA) চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণ করেছে। 

এটা একেবারে পিনপয়েন্ট ল্যান্ডিং। মানে হালকা পালকের মতো গিয়ে যেখানে নামার কথা একেবারে সেখানে গিয়েই অবতরণ। এবার চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করবে জাপান। চাঁদ কীভাবে তৈরি হল সেটা নিয়েও গবেষণা করবে এই স্নাইপার। ২০ মিনিটের রূদ্ধশ্বাস সময়। গোটা জাপান কার্যত অপেক্ষা করছিল এই সময়টার জন্য। সেই সময়তেই চাঁদের মাটিকে নেমে এল জাপানের চন্দ্রযান। মাত্র ১ মিনিট দেরিতে ল্যান্ডিং করেছে এই চন্দ্রযান। জাপানের মুন স্নাইপার। নাম দেওয়া হয়েছে SLIM।

তিনটে ধাক্কায় চাঁদের মাটিতে নেমে আসে এই চন্দ্রযান। এই সময়ের মধ্য়ে এই চন্দ্রযান অনুভূমিক দিক থেকে উল্লম্বের দিকে চলতে থাকে। এরপর চন্দ্রযানে থাকা বিশেষ সফটওয়ার দিয়ে নামার জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। 

এদিকে নামার আগে দেখে নেওয়া হয় কোথাও কোনও বাধা রয়েছে কিনা। পঞ্চাশ মিটার দূর থেকে এটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই মতো সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই পালকের মতো নেমে এল এই চন্দ্রযান। শেষ পর্যন্ত এই চন্দ্রযান নেমে এল চাঁদের বুকে।

তবে সূত্রের খবর, অন্তত দুমাস সময় লাগবে ঠিক কোন জায়গায় ল্যান্ডারটি রয়েছে আর এটা ঠিকঠাক নামতে পারল কি না।

রকেট H2AF47 এর মাধ্যমে এই স্লিম উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই চন্দ্রযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। 

তবে মহাকাশ অভিযানে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই ভারতও। ২০২৩ সালের ২৩ অগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি – ১৩৭ দিনের মধ্যে চাঁদ এবং সূর্যকে ‘জয়’ করল ভারত। গত বছর ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। আর শনিবার (৬ জানুয়ারি) ‘ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১’ (এল১) লাগোয়া একটি ‘হেলো’ কক্ষপথে প্রবেশ করেছে ভারতের সৌরযান। যা বিশ্বের মহাকাশ ইতিহাসে অভাবনীয় মাইলফলক বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।