সরকারি স্কুলগুলি ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, শিক্ষা দফতরে চিঠি লিখে একাধিক প্রস্তাব শিক্ষকদের

সরকারি স্কুলে পড়ুয়া বৃদ্ধির উপায় কী?‌ এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ কয়েকটি স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদেরও পড়ানোর অনুমতি চাইছে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। কোনও স্কুল আবার শিক্ষা দফতরকে প্রস্তাব দিয়েছে সরকারি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু করার জন্য। এইসব পথ অবলম্বন করলেই পড়ুয়া বৃদ্ধি পাবে সরকারি স্কুলে বলে তাঁরা মনে করছেন। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি এইসব প্রস্তাব দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আসলে তাঁরা এভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।

এদিকে নিমতা হাইস্কুলের ১৫০ বছর পূর্তিতে আজ, শনিবার শুরু হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, সারা বছর নানা অনুষ্ঠান হয়ে দেড়শো বছরের উদযাপন শেষ হবে ২০২৫ সালে। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে গড়ে উঠেছিল নিমতা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়। যা এখন নিমতা হাইস্কুল বলেই সবাই চেনে। তবে অন্যান্য স্কুলের মতো এখানেও পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। এই স্কুলের শিক্ষক মলয়কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দেড় হাজার ছিল ছাত্র সংখ্যা। সেখান থেকে কমে এখন ৮০০ হয়েছে। এখানে বাংলা মাধ্যমের সঙ্গে ইংরেজি মাধ্যম চালু করলেই ছাত্র বৃদ্ধি পাবে। আর তার জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেছি। এছাড়া স্কুল ভবনের পরিকাঠামো এবং বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষাগারের উন্নত করার কথাও বলেছি।’

অন্যদিকে শহরের বহু বাংলা মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র সংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তার উপর একটা স্কুলের সঙ্গে অন্য স্কুলের সংযোগ ঘটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকায় গান্ধী কলোনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। আজ, শনিবার সেখানে ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এখানে বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানো হতো। এই স্কুলের অনেক উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। আজ এখানের ছাত্রছাত্রীরা সুপ্রতিষ্ঠিত। এখনও বহু গরিব পড়ুয়া এবং হোমে থাকা অভিভাবকহীন পড়ুয়ারা এই স্কুলকে আঁকড়ে ধরেই জীবনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ রামের পুজো হবে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে, আয়োজক বিজেপি–পন্থী চিকিৎসকরা

তবে একাধিক কারণে এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এখানে ১২০০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে। আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘স্কুলের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে আসুক এটাই চাই। তার জন্য আরও ভাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাই। স্কুলে মেধাবী পড়ুয়াদের স্কলারশিপ, ল্যাপটপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নতুন বিষয় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আনার চেষ্টা করছি। এই বিষয়ে প্রাক্তনীদেরও এগিয়ে আসতে আবেদন করেছি। আমাদের স্কুল ছেলেদের। তবে এখন ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদেরও পড়ার অনুমতি চেয়ে শিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখেছি।’