India-Myanmar Border: এবার বেড়া দেওয়া হবে, মায়ানমার থেকে আর অবাধে আসা যাবে না ভারতে, জানালেন শাহ

উৎপল পরাশর

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার জানিয়েছেন, মায়ানমারের সঙ্গে দেশের সীমান্ত বরাবর বেড়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন দুদেশের মধ্য়ে যে বাধাহীন যাতায়াত সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

মেঘালয় ও অসমে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার শিলংয়ে নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের প্লেনারি সেশনে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গোটা ভারত-মায়ানমার সীমান্তকে বেড়া দিতে চাইছে। ঠিক যেমন বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে ভারত-মায়ানমার সীমান্তেও এই ধরনের বেড়া দেওয়া থাকবে। অসম পুলিশের ২৫৫১জন কমান্ডোর পাসিং আউট প্যারাডে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে বেড়া দেওয়া হবে।

অসম পুলিশের কমান্ডো ব্যাটালিয়নের প্রথম ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেডে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, কেন্দ্র মিয়ানমারের সাথে অবাধ চলাচলের সুবিধাটি শেষ করার কথা ভাবছে।

তিনি বলেন, ‘ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বাংলাদেশ সীমান্তের মতোই সুরক্ষিত থাকবে। ভারত সরকার মায়ানমারের সঙ্গে অবাধ চলাচল বন্ধ করবে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ‘অবৈধ অভিবাসন’ ঠেকাতে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমআর) বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ করবে রাষ্ট্র।

ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের পারিবারিক ও জাতিগত বন্ধনের কারণে ১৯৭০-এর দশকে এফএমআর আনা হয়েছিল।

এর আগে অমিত শাহ ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে কটাক্ষ করেন।

তিনি বলেন, “বোড়ো আন্দোলনের একটা ইতিহাস আছে। নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য, বোড়োদের ব্যাপক সংগ্রাম করতে হয়েছিল। মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এবং ক্ষমতায় নিমগ্ন থাকার কংগ্রেসের নীতির কারণে হাজার হাজার যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ ভাই হারিয়েছেন, কেউ পিতৃপুরুষ হারিয়েছেন, কেউ স্ত্রীকে হারিয়েছেন।

উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীতির প্রশংসা করে শাহ বলেন, গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের আইনশৃঙ্খলায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন আনার মিশন সফল হয়েছে।

গত তিন বছরে বোড়োল্যান্ডে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, উন্নয়নের পথে হেঁটে নতুন গল্প রচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এর আগে তেজপুরে সশস্ত্র সীমা বলের ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবং দেখিয়াজুলিতে অল বাথৌ মহাসভার ত্রয়োদশ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন অমিত শাহ। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আসামের সাহসী লাচিত বরফুকান’ নামে একটি বইয়ের সূচনা করেন এবং গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র বরাবর নদীর তীরে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।