রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে নয়া নির্দেশিকা, দিনে ৩ বার পরিষ্কার করা হবে শৌচাগার

সরকারি হাসপাতালের শৌচালয় পরিষ্কার সংক্রান্ত নতুন আদেশ সামনে এল এবার। রোগীদের কথা মাথায় রেখেই এবার থেকে দিনে তিনবার করে পরিষ্কার করা হবে সরকারি হাসপাতালে শৌচালয়। সমস্ত মেডিকেল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই নিয়ম লাগু হবে দ্রুতই। আর সঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব থাকবেন সিস্টার ইনচার্জ। কোনও সাফাই কর্মচারী যদি ঠিক থাকে সেই কাজ না করেন, তিনবার যদি কোনও সরকারি হাসপাতালে শৌচালয় পরিষ্কার না হয়, তাহলে পড়তে হবে কড়া শাস্তির মুখে।

অন্যদিকে, শৌচালয় পরিষ্কার সংক্রান্ত কাগজে যদি টিক দেওয়া থাকে, এদিকে দেখা যায় সেই শৌচালয় পরিষ্কার নয়, তাহলে শোকজ করা হবে সিস্টার ইন চার্জকেও। শোকজের জবাব দিতে হবে ঊর্ধ্বতন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। শৌচালয় ছাড়া পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে বেসিন, ডাস্টবিন, অপারেশন থিয়েটারের বাইরের অংশ সব জায়গা। এই সমস্ত জায়গায় সকাল দুপুর এবং সন্ধ্যে তিন বেলা পরিষ্কার করতে হবে। এবিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘খাতায় কলমে এই উদ্যোগ ভাবলে ভুল হবে। ইতিমধ্যেই অনেক কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। এই নিয়ম না মানায় দক্ষিণবঙ্গের এক ঠিকাদারকে ৫ লক্ষ টাকার জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে।’

মেডিক্যাল কলেজে মায়ের চিকিৎসা করাতে আসা সুজয়বাবু জানান, ‘খুব ভাল উদ্যোগ। এখানকার শৌচালয়গুলি মোটামুটি পরিষ্কার। কিন্তু আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি খুবই নোংরা। এতে অন্তত পরিষ্কার হবে এবং রোগী ভাল থাকতে পারবেন।’ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে শৌচালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অপরিষ্কার জঞ্জাল, চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্টই হানিকর। এই ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে কতটা ফলপ্রসূ হয় এই উদ্যোগ, সেই দিকে তাকিয়ে থাকতেই হবে। রাজ্যজুড়ে নির্দেশিকা পৌঁছে গেছে অধিকারের সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। দ্রুত উন্নত পরিষেবা শুরুর আশায় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা জনসাধারণ।