Birbhum TMC core committe: কাজল শেখ বাদ, বীরভূমের নয়া তৃণমূল কোর কমিটিতে অনুব্রত ঘনিষ্টরাই

লোকসভা নির্বাচনের আগে ভেঙে দেওয়া হল বীরভূমের তৃণমূলের কোর কমিটি। অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পর বীরভূমে আর কাউকে জেলা সভাপতি করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ সদস্যের একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। একদা অনুব্রতের বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখকে আবার সামনের সারিতে এনেছিলেন। মমতা। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগেই সেই ৯ সদস্যের কোর কমিটি ভেঙে দিয়ে পাঁচজনের নতুন কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে নাম নেই কাজল শেখের।

প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েকদিন ধরে জেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বীরভূমের সংগঠন নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে তিনি বড় কোর কমিটি ভেঙে দেন। নতুন করে পাঁচ সদস্যের একটি কোর কমিটি তৈরি করে দেন। সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায় চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহ, সুদীপ্ত ঘোষ ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

কাজল শেখের সঙ্গে কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দুই সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মালকে। মনে করা হচ্ছে, তাঁদের আবার প্রার্থী করা হচ্ছে, সে কারণে তাঁদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

কেন হঠাৎ কাজল শেখকে সরিয়ে দেওয়া হল কোর কমিটি থেকে? বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় এ নিয়ে কিছু বলেননি।  তবে সূত্রের খবর, বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনুব্রত মণ্ডল না থাকলেও তাঁকে ভুলে যাওয়া চলবে না। তবে পাঁচজনের কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্টদের। তাই এতে স্পষ্ট দলেনেত্রী চাইছেন লোকসভা ভোটের লড়াই হোক অনুব্রতক সামনে রেখে। শতাদ্বী রায় বলেন, ‘দিদি বলেছেন অনুব্রত নেই মানে তাঁকে আমরা যেন ভুলে না যাই।’ সাংসদ জানান, ‘দায়িত্বে যেই থাকুক না কেন বীরভূম দেখছেন দিদি নিজে।’

সূত্রের খবর, কাজল শেখকে এদিন ধমক দিয়ে মমতা বলেন, ‘শুনেছি তুমি  নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছ। দল ও সরকার এক করে দিয়েছো। আমি কমিটি ছোট করে দিলাম। তুমি জেলা পরিষদের কাজটা মন দিয়ে করো। ’