Mamata vs Abhishek: মমতার ডাকা বৈঠকে না গিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে ছুটলেন অভিষেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক এড়ালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। মঙ্গলবার বিকেলে যখন তৃণমূল নেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক শুরু হয় তার ঠিক আগে গাড়ি হাঁকিয়ে তিনি চলে গেলেন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। অভিষেক মমতার ডাকা বৈঠক এড়ানোয় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই শাসকদলে পিসি – ভাইপোর সমীকরণ নিনে নানা তত্ত্ব ছড়িয়েছে। সোমবার মমতার ডাকা সংহতি মিছিলে হাঁটলেও পিসির ধারে কাছে দেখা যায়নি অভিষেককে। মঞ্চে পাশাপাশি বসলেও সম্পর্কের শৈত্য ধরা পড়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকের অনুপস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে কারণ, এর আগের ২টি বৈঠকে হাজির ছিলেন তিনি। এর আগে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। ২টি বৈঠকেই হাজির ছিলেন অভিষেক। তবে বেশ কিছুটা নিষ্প্রভ দেখিয়েছিল তাঁকে। তবে বীরভূম জেলার বৈঠকে তিনি কেন হাজির হলেন না তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন বৈঠক শুরুর ১৫ মিনিট আগে বাড়ি থেকে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

তৃণমূলের একাংশের মতে, বীরভূমে দলের গোষ্ঠীকোন্দলে বিরক্ত অভিষেক। কিন্তু সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কর্তৃত্ব ছাড়তে চান না। বীরভূমে অভিষেক গোষ্ঠীর সদস্যও তেমন নেই। ফলে সেই বৈঠকে হাজির হয়ে আর সময় নষ্ট করতে চাননি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। দলনেত্রীর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন পুরোটা।

ওদিকে এদিনের বৈঠকে কাজল শেখকে বীরভূম জেলার কোর কমিটি থেকে বিদায় করে দিয়েছেন মমতা। জেলায় অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত কাজলকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করেছেন মমতা। তাঁকে কোর কমিটির সদস্যও করেছিলেন তিনি। এদিন সেই কাজল মমতার কাছে জবর ধমক খান। মমতা বলেন, আমি তো ৯ জনের কোর কমিটি করেছিলাম। কিন্তু শুনলাম তুমি একাই দল চালাচ্ছো? যা খুশি করছো? তোমাকে সংগঠন দেখতে হবে না। তুমি জেলা পরিষদটা ভালো করে দেখো।