‘পেট কি আর ঠান্ডা-শীত বোঝে ভাই’

পৌষ পেরিয়ে মাঘের কাক ডাকা ভোর। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে উপজেলার চারিদিকে তখন তাপমাত্রার ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিষ্ঠুর রাজত্ব, হিম কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু প্রকৃতি- স্থবির জনজীবন। এমন বিরূপ আবহাওয়ার সাথে পাঞ্জা দিয়ে পরিবারের মুখে দু-মুঠো অন্ন জোগাতে মাঠে নেমেছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী হতদরিদ্র মানুষগুলো। 

তাদের একজন আলতাফ, বাড়ি উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের মোল্লা পাড়ায়। ২ সন্তানের জনক আলতাফ হোসেন সেই ভোর বেলায় কাজে নেমেছেন পরিবারের মুখে দু-মুঠো অন্ন জোগাতে। মাঠেই কাজরত অবস্থায় দেখা হল তার। এতো সকালে ঠান্ডার মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন কাজ করছেন এমনটি জানতে চাইলে চোখ তুলে তাকান এ প্রতিবেদকের দিকে। হালকা শীতের পোশাকে দুচোখের চোখের পাপড়িগুলো তার ঘনকুয়াশায় ভেজা। দুহাতে ভেজা ইরি চারা তুলতে তুলতে একটা

হতাশার নিশ্বাস ছেড়ে বললেন- পেটে কি আর ঠান্ডা বোঝে ভাই, গরিবের কপাল আমার, কাজ করলে পেটে ভাত- না করলে নাই! আলতাফের মতো এমন অনেক আলতাফ রয়েছ নদীবেষ্টিত নাগেশ্বরী চরাঞ্চলসহ পাড়া-গ্রামে। শৈত্যপ্রবাহের এমন বিরূপ প্রকৃতিতে তাদের সাহায্যার্থে সরকারি, বেসরকারি কিংবা সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে তাদের জীবন-জীবিকা একটু স্বস্তির হতো বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। 

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন শৈত্য প্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার শীতার্তদের মাঝে ৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের আবহাওয়া অফিসের কৃষি ও আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন- জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।



শাকিল/সাএ