তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা কি আদৌ সম্ভব? শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ জুড়েই ঘুরপাক খায় এই প্রশ্ন? কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চায় না। তবে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে ঠিক কী বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী?
অসমের কামরূপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন, আমাদের আসন সমঝোতার ব্যাপারটি চলছে। এর রেজাল্ট আসবে। এই ব্যাপারে এখানে কিছু বলব না। তবে মমতাজির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ও পার্টির খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কখনও আমাদের কেউ কিছু বলে দেন, কখনও ওদের কেউ কিছু বলে দেন। এটা খুব ন্যাচারাল ব্যাপার। সেসব এতে( আসন বোঝাপড়ায়) বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
অত্যন্ত তাৎপর্যপূরণ বিবৃতি দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, মমতাজির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ও পার্টির খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে ইতিমধ্য়েই নানা চর্চা চলছে বাংলায় দুই দলের অন্দরেই।
পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে সোমবার কংগ্রেসের নাম না করে তির ছুঁড়েছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, আমি বলেছিলাম যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একাই লড়াই করুন। আমরা সাহায্য় করব।তারা বলছে তাদের মর্জিমতো হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার বাংলায় আসবে রাহুলের ন্য়ায় যাত্রা। কোচবিহার হয়ে প্রবেশ করবে রাহুলের বাস। কতটা সাড়া পড়বে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে তার আগেই রাহুল জানিয়ে দিলেন, মমতাজির সঙ্গে আমার খুব ভালো ‘রিস্তা’ রয়েছে।
কার্যত বড় বার্তা দিয়ে দিলেন রাহুল। এদিকে বিজেপি শাসিত অসমে বার বারই বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল রাহুলের ন্য়ায় যাত্রার বাসকে। সেক্ষেত্রে বাংলায় প্রবেশ করার পরে রাহুলকে আদৌ বাধার মুখে পড়তে হয় কি না সেটা দেখার। তবে রাহুল গান্ধী কিন্তু আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, কখনও আমাদের কেউ কিছু বলে দেন, কখনও ওদের কেউ কিছু বলে দেন। এটা খুব ন্যাচারাল ব্যাপার। সেসব এতে( আসন বোঝাপড়ায়) বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
তবে প্রকাশ্য়ে কংগ্রেসের কেউ কিছু না বললেও তৃণমূলকে আদৌ কতটা সহায়তা করবে কংগ্রেস সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এদিকে মুর্শিদাবাদের মতো কংগ্রেসের গড়েও কিন্তু তৃণমূল থাবা বসানোর চেষ্টা করছে বলে খবর। এরপরেও কি জোট সম্ভব বাংলায়?