100 Days Work: ১০০দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে বড় বৈঠক, টাকা কি ভোটের আগেই?

১০০ দিনের কাজের বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে মঙ্গলবার সচিব পর্যায়ে বৈঠক হল দিল্লিতে। কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকারের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হল দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব শৈলেশ কুমার সিং উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিবরাও ছিলেন বৈঠকে। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে হল বৈঠক। তবে শেষ পর্যন্ত লোকসভা ভোটের আগে এই ১০০দিনের কাজের বকেয়া মিলবে কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। তবে বৈঠক শেষ করে রাজ্য়ের প্রতিনিধিরা বাংলায় দ্রুত ফিরছেন বলে খবর। এরপর তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরবেন।

তবে ১০০দিনের বকেয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলেছে। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একাধিকবার এনিয়ে দিল্লিতে দরবার করেছেন। এমনকী ধর্নাও হয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে গিয়ে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। তারপরও বকেয়া মেটেনি। তবে সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকেও বড় কোনও দিশা মেলেছে এমনটা নয়।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারে রাজ্যের ১০০ দিনের কাজে বকেয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু অসংগতির কথা জানিয়েছিল। সেই নিরিখে রাজ্য় সরকার কী কী কাজ করেছে সেটা তুলে ধরা হয় বৈঠকে। 

এদিকে ১০০ দিনের কাজে প্রচুর হিসেবের গরমিল রয়েছে বলে বার বারই অভিযোগ ওঠে। তবে শাসকদলের তরফ থেকে দাবি করা হয় গ্রামের গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এটা মানা যায় না।

এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। ফের ১০০ দিনের কাজের বঞ্চনা নিয়ে নিজেদের পালে হাওয়া তুলতে চেষ্টা করছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে বকেয়া মিটিয়ে দিতে পারলে আখেরে লাভ হবে গেরুয়া শিবিরের। কারণ ১০০দিনের কাজের বঞ্চনার বিষয়টিকে ইস্যু করে তৃণমূল শিবির অনেকটাই মাইলেজ পেতে পারে। সেকারণে এবার ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের বকেয়া মেটাবে কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অসংখ্য় মানুষ।

এদিকে এর আগে কেন্দ্রীয় দল বেশ কয়েকবার ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার প্রকল্প খতিয়ে দেখে গিয়েছে। রাজ্যের দাবি, সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তা সত্ত্বেও কেন টাকা আটকে রয়েছে? তা জানতে চাইছে রাজ্য সরকার। তার জন্য এবার কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানের রিপোর্টে কী উল্লেখ করা হয়েছে, জানতে চাইছে সরকার। সেজন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার হল মিটিং।