RSS Chief Mohan Bhagwat on Netaji: ‘সুভাষচন্দ্রের স্বপ্ন পূরণে এগোচ্ছি’ বাংলায় নেতাজি বন্দনায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

সোমবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে দেখা গিয়েছিল রামমন্দিরে। রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশেই ছিলেন তিনি। আর পরের দিনই পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এসে নেতাজি বন্দনায় মাতলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে আরএসএসের ভাবাদর্শের সঙ্গে নেতাজির চলার পথের কতটা মিল ছিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে মঙ্গলবার নেতাজি বন্দনা পুরোদস্তুর অংশ নিলেন আরএসএস প্রধান। বারসতের ওই অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেন, অনেক জাতি উপজাতি ভাষা ধর্ম রয়েছে। তবে দেশ সবার উপরে। এমনটাই মনে করতেন নেতাজি।

মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, দেশপ্রেম তাঁর জীবনের মূল মন্ত্র ছিল।… আমরা জানি নেতাজির স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন কে পূরণ করবে? উনি জানতেন এই স্বপ্ন একার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছি।

বললেন আরএসএস প্রধান। অত্যন্ত তাৎপর্যপূরণ এই বক্তব্য। নেতাজির ফেলে রাখা মিশন সম্পূর্ণ করবে আরএসএস। এদিকে এর আগেও আরএসএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নেতাজি যে লক্ষ্য়ে কাজ করতেন আরএসএসও সেই লক্ষ্য়েই কাজ করেন। আসলে উভয়ের কাছেই দেশ সবার আগে। কিন্তু এই কথাকে ঘিরে নানা বিতর্ক রয়েছে। আরএসএস ও নেতাজির পথের মধ্য়ে কতটা মিল রয়েছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে।

তবে মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, দেশপ্রেম তাঁর (নেতাজি) জীবনের মূল মন্ত্র ছিল।… আমরা জানি নেতাজির স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন কে পূরণ করবে? উনি জানতেন এই স্বপ্ন একার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছি।

এদিকে গতবছরই নেতাজির ১২৭ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলকাতার শহিদ মিনারে সংঘের তরফে ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, স্বপন দাশগুপ্তরা। সংঘের চিরাচরিত জামা ও খাঁকি প্যান্ট পরেছিলেন তাঁরা।

সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সংঘ প্রধান ভাগবত বলেন, ‘শুধুমাত্র স্বাধীনতার লড়াইয়ে অমূল্য অবদানের জন্য নেতাজিকে স্মরণ করার মধ্যে থেমে থাকতে পারি না আমরা। বরং তাঁর যে গুণ ছিল, সেগুলি আমাদের আত্মস্থ করতে পারে। উনি যে ভারত তৈরির স্বপ্ন দেখতেন, তা এখনও পূরণ হয়নি। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’

এর আগো অনিতা বসু পাফ জানিয়েছিলেন, ‘আমার বাবা এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি হিন্দু ছিলেন, কিন্তু সকল ধর্মকে সম্মান করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকলেই একসঙ্গে থাকতে পারে। কিন্তু, আরএসএস এতে বিশ্বাস করে না।’ তিনি মনে করেন, আরএসএস যদি নেতাজির আদর্শ গ্রহণ করে তাহলে দেশের জন্য ভালো হবে। তিনি বলেন, ‘নেতাজি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। কিন্তু আরএসএস তা মানতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমি নিশ্চিত নই যে আরএসএস সেই আদর্শে বিশ্বাস করে।’ এরপরেই নেতাজির জন্মদিবস পালন নিয়ে অনিতা বোস পাফ বলেন, ‘আরএসএস যদি হিন্দু জাতীয়তাবাদী ধারণা প্রচার করতে চায় তবে তা নেতাজির আদর্শের সঙ্গে তা মিলবে না। এর জন্য নেতাজিকে ব্যবহার করা হলে আমি তার প্রশংসা করব না।’