ED raids Sheikh Shahjahan’s House: ১৯ দিন পর আবারও শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি, এবার সঙ্গে ১০০ CRPF

গত ৫ জানুয়ারি। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। তিন আধিকারিক গুরুতর আহত হয়ে হাতপাতালে পর্যন্ত ভরতি হয়েছিলেন। সেই ঘটনার ১৯ দিন পর, আজ ফের শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিল ইডি। এই মাঝের ১৯ দিনে অবশ্য শাহজাহান অধরা। যদিও শাহজাহানের হয়ে তাঁর আইনজীবী হাই কোর্টে মামলা করেছেন। তবে পুলিশ শাহজাহানকে ধরতে পারেনি। এদিকে শাহজাহানকে ধরতে পুলিশ এবং সিবিআই-এর আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে ইডি। তাদের দাবি, শুধুমাত্র সিবিআই শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক। এই সবের মাঝেই আজ সকাল সকাল শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। ইডির সঙ্গে আজ আছেন প্রায় ১০০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। উল্লেখ্য, গতকালই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল ইডি। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই আজ অভিযানে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: বাংলার CM-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দাবি রাগার, কিছু পরই অধীর বললেন, ‘মমতা সুবিধাবাদী’)

গত ৫ জানুয়ারি কী ঘটেছিল? সেদিন সকালে ইডির আধিকারিকরা যখন শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন, তখন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শেখ শাহজাহানের দেখা মেলেনি। ইডির অফিসাররা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দরজা খুলতে বলেছিলেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে এক দল উন্মত্ত জনতা লাঠি নিয়ে এসে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ফেলেন। ইডির দাবি, প্রায় ৮০০-১০০০ জনের উন্মত্ত জনতা চড়াও হয়েছিল তদন্তকারী দলের উপর। আক্রান্ত হয়েছেন ইডির অফিসাররা। ইডির তিন জন অফিসার হাসপাতালে ভরতি। এদিকে হামলার দায় পালটা ইডির উপরেই চাপিয়েছে বাংলার শাসক শিবির। তৃণমূলের মুখপাত্র থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীদের দাবি, অভিযানের ব্যাপারে ইডি আগাম কোনও তথ্য দেয়নি। তথ্য দিলে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকত। আর তাতে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না।

এদিকে সেই ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। অভিযোগ ছিল, ওয়ারেন্ট ছাড়াই শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। পরে সেই এফআইআর-এর ওপরে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। এদিকে ইডির অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পৃথক এফআইআর হয়েছে। শাহজাহান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে সেই এফআইআর। রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি জোবি থমাসের কাছে ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে ইডি। সেই অভিযোগে ইডি অবশ্য উল্লেখ করেছে, কোর্ট ওয়ারেন্ট নিয়েই শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেই ঘটনায় এখনও অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। তবে শাহজাহান নিজে অধরা। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আরও একটি মামলা রুজু করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সেই মামলা রুজু করা হয়েছে।