WB Arrear meeting in Delhi: দিল্লিতে বৈঠক কেন্দ্র-রাজ্য স্তরের সচিবদের, বাংলার বকেয়া জট কি এবার কাটবে?

১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া অর্থ রাজ্যের পকেটে ঢুকছে না। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই এই অভিযোগে সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয় মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল দিল্লিতে রাজ্যের একাধিক দফতরের সচিবকে তলব করা হয়েছিল বৈঠকের জন্য। এই আবহে সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গিয়ে পৌঁছন দিল্লিতে। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শৈলেশ কুমার সিং। সেই বৈঠকেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব। জানা গিয়েছে, দুর্নীতি এবং অনিয়মের যে সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, সেই নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরা হয় সেই বৈঠকে। (আরও পড়ুন: বাংলার CM-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দাবি রাগার, কিছু পরই অধীর বললেন, ‘মমতা সুবিধাবাদী’)

আরও পড়ুন: ১৯ দিন পর আবারও শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি, এবার সঙ্গে ১০০ CRPF

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এই বৈঠকের পর কী বকেয়া জট খুলবে? রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছেন। এর আগে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব স্তরের বৈঠকে বাংলার প্রতিনিধি দলের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা হয়েছে কি না, তাতে কেই গ্রেফতার হয়েছে কি না। আবাস যোজনা নিয়েও একই ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছি। এদিকে বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লোগো ব্যবহার নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে দিল্লিতে গিয়ে বকেয়া প্রসঙ্গে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন মমতা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে বকেয়া ইস্যুতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই মতোই গতকাল দিল্লিতে হয় এই সচিব স্তরের বৈঠক। বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাবদ সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে আছে রাজ্যের। এই প্রকল্পের প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বাংলার পাওনা বলে জানা গিয়েছে। এদিকে একশো দিনের কাজে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে আছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনাতে প্রকল্পেরও বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতবছর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে মন্ত্রীর দফতরে ধরনাতেও বসেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। বাংলার রাজনীতিতে ‘বকেয়া টাকা’ ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। এই আবহে দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গেও দেখা করে এসেছেন মমতা। তাঁর সঙ্গে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক সহ তৃণমূলের আরও তাবড় নেতারা। সেই বৈঠকের আগেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাংলার প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনা, গ্রামের রাস্তা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্য থেকে জিএসটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের ভাগ দেওয়া হচ্ছে না। ওদের টাকা চাই না, অন্তত আমাদের ভাগের টাকা দিয়ে দিন।’ এরপর দিল্লিতে মোদী-মমতার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাব দিয়েছিল, বকেয়া জট কাটানোর জন্য কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ কমিটি তৈরি করা হোক। এই আবহে মঙ্গলে কেন্দ্র ও রাজ্যের সচিবদের বৈঠক হয় বকেয়া জট কাটাতে।