Indo–Myanmar border: ভারত–মায়ানমার সীমান্তের ১৭০০ কিমি অংশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরেবে BRO

সাম্প্রদায়িক হিংসা, অশান্তির জেরে লাগাতার উত্তপ্ত মায়ানমার। তাই মায়ানমার থেকে মানুষজন অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছেন। মূলত উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন মায়ানমারের বাসিন্দারা। আবার গত মে মাস থেকে অশান্ত রয়েছে মণিপুর। সেক্ষেত্রে মণিপুরে অশান্তির জন্য মায়ানমারের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সেনারা। এই অবস্থায় ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের মতো মায়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে (বিআরও) এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারত মায়ানমার সীমান্তের প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার বেড়া দেওয়া হবে, মায়ানমার থেকে আর অবাধে আসা যাবে না ভারতে, জানালেন শাহ

বিআরও-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্ব) পি কে এইচ সিং বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার সীমানা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যেই মণিপুরের মোরেহ সীমান্তে ১০ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেই অসম রাইফেলসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি জানিয়েছেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভারত-মায়ানমার সীমান্তকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মতো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত করা হবে। তারপরেই এই উদ্যোগ।

মায়ানমার সীমান্ত রয়েছে ভারতের চারটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামে। যার দৈর্ঘ্য হল প্রায় ১৭০০ কিমি। ভারত–মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বিআরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সীমান্তের আশেপাশের এলাকা যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে কাঁটাতারের বেড়ামুক্ত ছিল তাই এর চারপাশ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এডিজি। তিনি বলেন, সংস্থাটি আগে বিএসএফের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ করেছে।

এছাড়াও, ভারত–চিন–মায়ানমার সীমান্ত নিয়ে গঠিত ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের ১৭৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিআরওকে ৫৩১ কিলোমিটারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা অব্যাহত আছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতে অনুপ্রবেশ আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।