Infosys Bengal update: তিন মাসের মধ্যেই কলকাতায় নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধন ইনফোসিসের

বছর আড়াই আগেই রাজারহাটে প্রস্তাবিত তথ্য প্রযুক্তি প্রকল্পের ভূমি পূজা করেছিল ইনফোসিস। গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে ইনফোসিস টুইটে জানিয়েছিল ‘ কলকাতা, আমরা আসছি। আমাদের অফিসে শীঘ্রই আপনাদের স্বাগত জানাব। বাকিটা জানার জন্য এবং চাকরির সুযোগ পাওয়ার জন্য নজর রাখুন’। সে সম্পর্কে জানা গেছে যে চলতি বছরেই উদ্বোধন হতে পারে ইনফোসিসের নতুন অফিস কলকাতায়। এই অফিসের প্রথম অংশের নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর তিন মাস অপেক্ষার পরই মিলতে পারে সুখবর।

ইনফোসিস সংস্থার কলকাতায় আসার পরিকল্পনা একদমই নতুন নয় বরং আজ থেকে প্রায় ১০-১১ বছর আগেই রাজারহাটের একশন এরিয়া ৩-এ জমি অধিগ্রহণ করে সংস্থাটি। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যায়নি তখন। বাম আমলে ইনফোসিসের বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন থাকলেও, প্রকল্প আটকে যায় নানা জটে। পরবর্তীকালে সরকার কর্তৃক শর্ত শিথিলের মাধ্যমে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

২০১৮ সালের অগস্ট মাসে প্রথম এই আইটি কোম্পানিটির তরফে জানানো হয়েছিল যে তারা কলকাতায় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কেন্দ্র গড়ে তুলতে চায়। ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু কোভিড সংক্রমনের ফলে পৃথিবী জুড়ে যে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয় তার ফলে কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি, তাই কোভিড কালে থমকে গিয়েছিল এই প্রকল্পটি।

২০২৩ সালে রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন ‘ইনফোসিসের ক্যাম্পাস তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে কলকাতায়। কোভিদের সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু থাকায় এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে কোম্পানিটি আরও অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি ছিল না সেই কারণেই কাজ শেষ হতে দেরি হল।’ ২০২৩ সালে রাজারহাটের মানি কাসাডোনায় ৪০ হাজার স্কোয়ার ফুটের অফিস অধিগ্রহণ করে ইনফোসিস এবং জানায় প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসের কাজ প্রায় সম্পন্ন এই অপেক্ষার পালা প্রায় শেষ হওয়ার পথে। ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে নতুন ক্যাম্পাসে কোম্পানির নাম ইংলিশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাতেও লেখা রয়েছে যা দেখে আপ্লুত বাংলার ফেসবুক জনতা। দাবি করা হচ্ছে যে এ রাজ্য থেকে অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে ইনফোসিস সংস্থায় যারা কর্মরত রয়েছেন, নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধন হলে তারা সবচেয়ে সুবিধা পাবেন এবং নতুন চাকরি প্রার্থীদেরও কর্মসংস্থান হবে নিজের রাজ্যেই।