Republic Day: মাওবাদী বিরোধী অভিযানে হারিয়েছেন পা, শৌর্য চক্রে ভূষিত এই সাহসী অফিসার

২০২২ মাওবাদী বিরোধী অভিযানে হারিয়েছেন পা, অদম্য সাহসের জোরে জিতেছিলেন লড়াই। আজ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে শৌর্য চক্রে ভূষিত হলেন সিআরপিএফ অফিসার বিভোর কুমার সিং। কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তিনিই একমাত্র এই তৃতীয় সর্বোচ্চ শান্তিকালীন সামরিক পদক পেয়েছেন।

নিজের ৩৩ বছরের জন্মদিনের একদিন আগে, কমান্ডো-প্রশিক্ষিত অফিসার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই বিশেষ উপহারের কথা জানতে পারেন। যদিও, প্রাক্তন আধাসামরিক বাহিনীর কর্মীদের সমিতি এবং অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, এই সাহসী পদক আরও আগে দেওয়া উচিত ছিল বিভোর কুমার সিংকে।

  • কে এই বিভোর কুমার সিং?

২০৫ তম কোবরা ব্যাটালিয়নের সহকারী কমান্ড্যান্ট অফিসার হলেন বিভোর কুমার সিং। যিনি ২০১৭ সালের মে মাসে সিআরপিএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিহারের গয়া এবং ঔরঙ্গাবাদ জেলার চক্রবান্ধা বনাঞ্চলের দায়িত্বে থাকাকালীন একটি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। এই অবস্থায় প্রায় ৭ ঘন্টা তাঁকে অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও, তিনি সাহসিকতার সঙ্গে নকশালদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং তাঁদের পালাতে বাধ্য করেছিলেন।

এরপর অফিসারকে প্রায় সাত ঘন্টা পরে গয়া জেলা সদরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাঁকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। যেখানে চিকিৎসকরা তার দুই পা কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন। সিআপিএফ সূত্রের খবর, মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটির পর থেকে এই মুহূর্তে তাঁর ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখতে তিনি অন ডিউটি কর্তব্যরত না থাকলেও, সৈন্যদের নেতৃত্ব ও নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছে।

এই বিষয়ে কোবরা ২০৫-এর কমান্ড্যান্ট কৈলাশ বলেছেন যে নকশালদের বিরুদ্ধে অদম্য সাহস এবং সাহসিকতার জন্য বিভোর সিংকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগের জন্য, তিনি দেশের রাজধানী দিল্লিতে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে শৌর্য চক্র পুরস্কার পেয়েছেন। উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), দেশের বৃহত্তম আধাসামরিক বাহিনী হিসাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ৬৫টি পুলিশ বীরত্ব পদকে ভূষিত হয়েছিল। এর মধ্যে ৬০টি জম্মু ও কাশ্মীরে পরিচালিত ১৪টি অপারেশনে কর্তব্যরত যোদ্ধাদের দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারজন বীর কর্মীকে মরণোত্তর বীরত্বের জন্য পদক দেওয়া হয়েছে। বিশিষ্ট সেবার জন্য এই বাহিনী আরও পাঁচটি রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছে।