ED-র তলব পেয়ে CBI দফতরে পৌঁছলেন নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডা প্রসন্ন রায়

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তলব পাওয়ার পরেই সিবিআই দফতরে দেখা গেল অন্যতম মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু সাংবাদিকদের নিজাম প্যালেসে আসার কোনও কারণ জানাননি তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল প্রসন্ন রায়ের। তার পরিবর্তে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান তিনি। গত বৃহস্পতিবার প্রসন্নর আইডিয়াল ভিলার বাংলোসহ ৭টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তার পরই তাঁকে তলব করা হয়।

ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায় ও তাঁর সহযোগীদের নামে মোট ৪৫০টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করে কী করে তিনি এই বিপুল মুনাফা করলেন তা জানতে চান গোয়েন্দারা। সঙ্গে প্রসন্নর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় ১০০টি কোম্পানি ও ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তল্লাশিতে প্রসন্নর ৪৫০টি সম্পত্তির প্রায় সব কটির দলিল উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রভাবশালীদের সম্পত্তি বেনামে কিনে রাখা হয়েছিল প্রসন্ন রায়ের নামে।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল প্রসন্ন রায়। অভিযোগ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে সেই টাকা ও প্রার্থীদের নামের তালিকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতেন প্রসন্ন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কও রয়েছে তাঁর। জামিন পেয়ে তাঁর বিপুল সম্পত্তি প্রসন্ন বিক্রি করার চেষ্টা করছেন বলে জানতে পারে ED.

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আয়কর দফতরের তলবে হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণ ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, জেরায় তিনি জানান, তাঁর নামে থাকা যাবতীয় সম্পত্তি আসলে তাঁর শ্বশুর পার্থর। সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন আত্মীয়ের নামে বেনামে সম্পত্তি কিনে রেখেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।