Padma Award 2024: নকশি কাঁথা বুনে পদ্মশ্রী বাংলার তকদিরা, বিদেশেও সম্মানিত বোলপুরের বধূ

অপূর্ব হাতের কাজ। নকশি কাঁথা বোনেন বোলপুরের বাসিন্দা জামবুনি এলাকার বাসিন্দা তকদিরা বেগম। সাজু আর রূপাইয়ের কাহিনি তাঁর কাঁথায় জীবন্ত হয়ে ওঠে কি না জানা যায়নি। তবে তিনি বহু নারীকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তকদিরা বেগম।

পদ্মশ্রী সম্মানে তাঁকে সম্মানিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর অসমানান্য কাজকে সম্মান জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বোলপুরের জামবুনির মাদ্রাসা পল্লির বাসিন্দা তিনি। সেই শৈশব থেকেই তিনি কাঁথা স্টিচের কাজ করে চলেছেন। একেবারে ছবির মতো সেই কাজ। অপূর্ব সুন্দর। দেখলে চোখ ফেরান যায় না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি তাঁর হাতের কাজ তুলে ধরেছেন।

তবে তিনি যে শুধু একলা এগিয়ে যাচ্ছেন এমনটা নয়। তিনি তাঁর সঙ্গে স্থানীয় মহিলাদেরও এই কাজে শামিল করছেন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর দিশা দেখাচ্ছেন।

তকদিরা জানিয়েছেন, ভালো লাগছে। খুব আনন্দ লাগছে। সেলাই কাজ খুব ভালোবাসতাম। আমি ক্লাস ফাইভে যখন পড়তাম তখন স্কুলে সেলাইয়ের একটা কোর্স ছিল। সেটা করেছিলাম। আমার মনে হল এটা তো খুব সুন্দর। মা সেই সময় বাড়ির জন্য় কাঁথা বুনতেন।আমি ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছি। আমার মেয়েরা কাজের সাপোর্ট করেছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আমার সব মেয়েরাই পুরস্কৃত। কাঁথা স্টিচের কাজ করে আমি খুব খুশি। দিল্লিতে এর আগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি আমি। ইতালি, কাতার, দুবাইতে আমি এই কাজ দেখাতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, এখনকার জমানায় আর কেউ সংখ্য়ালঘু মেয়েদের আর কেউ ঘরে রাখে না। রাস্তায়, বাজারে সবাই তো ঘুরছে। আমি পরিবারের মধ্য়ে পর্দার মধ্য়ে কাজ করি। মুখ ঢেকেই যাই মেলাতে। কোনও অফিসার বলেন না মুখটা খুলুন। সবাইকে বলি কাজ শেখো, উন্নতি করো। এটা বড় শিল্প। সংসার সামলে এসব করা যায়।