Narendrapur Sexual Harassment Case: নরেন্দ্রপুরে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ শিক্ষকের নামে, মার খেলেন অন্য শিক্ষকরা

স্কুলের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ জানাতে স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করে তাণ্ড চালানোর অভিযোগ উঠল ‘দুষ্কৃতীদের’ বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্কুলের অন্য শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে। জানা গিয়েছে, সেই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নাকি এক শিক্ষক যৌন হেনস্থা করেছে। এই অভিযোগে সরব হয়ে ‘বহিরাগতরা’ স্কুলে তাণ্ডব চালায়। সেই হামলায় আহত হন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা। এই আবহে স্কুলে পৌঁছায় পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয় শান্তি বজায় রাখতে। এই আবহে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। (আরও পড়ুন: ‘বাংলার সীতাদের খোঁজ নিন…’, ‘সিয়া-রাম’ বিতর্কে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর)

আরও পড়ুন: ‘তিনি নিজে কী ছিলেন?’ বিজেপির ‘সুরে’ কথা বলেও শুভেন্দুর তোপের মুখে ফিরহাদ

রিপোর্ট অনুযায়ী, বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক তারক দাসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে শনিবার স্কুল চত্বরে হামলা চালায় কিছু মানুষ। সেই ঘটনায় স্কুল চত্বর এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক-শিকিকাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। কিছু শিক্ষকের মোবাইল ফোনও ভেঙে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্কুলের ভিতরে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদের মদতেই নাকি স্কুলে এই তাণ্ডব চলে। যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে শনিবার দীর্ঘক্ষণ স্কুলেই আটকে থাকতে হয়েছিল শিক্ষকদের। প্রধান শিক্ষক অবশ্য বলেন, কোনও শিক্ষক যদি হেনস্থার শিকার হন, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে জনরোষ আছড়ে পড়াটা স্বাভাবিক। তবে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আদৌ সত্যি কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা এর তদন্ত করছি। আপাতত অভিযুক্ত শিক্ষককে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি এমনিতেই বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসছেন না।’ এদিকে প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলের অন্য কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়েছে বলে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। কেউ নাকি তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জানাননি।