Nitish Takes Oath: সকালে ইস্তফা, বিকেলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নীতীশের, এবার বিজেপির NDAএর সঙ্গে নয়া ইনিংস

ভারতীয় রাজনীতিতে লোকসভা ভোটের হাতে গোনা কয়েক মাস আগে কার্যত নয়া মোড় এনে দিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার সকালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে দিয়েছেন ইস্তফা। তার হাত ধরে আরজেডির সঙ্গে নীতীশের জেডিইউ এর সরকারের পতন হয়। বিকেলেই তিনি শপথ নিয়ে এবার বিজেপির এনডিএর সঙ্গে বিহারে গড়লেন সরকার।

বিহারের রাজনৈতিক এই নয়া পাশার চালে নীতীশ কার্যত জাতীয় রাজনীতিতেও বড় বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে দেখলে, রাজনৈতিক পালাবদলের রাজনীতিতে নীতীশ এই নিয়ে ৫ বার শিবির বদল করলেন। এদিকে, ইন্ডি জোট ছেড়ে নীতীশের প্রস্থান ঘিরে পর পর কটাক্ষবা আসছে বিজেপি বিরোধী শিবির থেকে। ইতিমধ্যেই মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁকে ‘আয়ারাম গয়ারাম’ বলে কটাক্ষ করেন। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ। এদিকে, বিজেপি শিবিরে ফের একবার বিহারের শাসকপক্ষে আসার তোরজোড় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা পৌঁছন পাটনা এয়ারপোর্টে। এদিকে, আরজেডি বিধায়কদের জায়গায় কোন কোন বিজেপি বিধায়ক নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভায় আসছেন তা নিয়ে ছিল সকাল থেকেই জল্পনা। জানা যাচ্ছে, বিজেপির সম্রাট চৌধুরী ও বিজয়কুমার সিনহা নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। এদিকে, নীতীশ জানিয়েছেন, আরজেডি সহ বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’ জোটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হওয়াতেই তিনি এই জোট ছাড়ছেন। এদিকে, নীতীশের পদক্ষেপে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ জাহির করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।

প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ ২০২৫ সালের ভোটে নীতীশ ২০ এর বেশি বআসন কিছুতেই জিততে পারবেন না। প্রশান্ত কিশোর ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমার ২০ টিরও বেশি আসন জিতলে আমি আমার কাজ থেকে অবসর নেব। দয়া করে এটি লিখে নিন।’ তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘বিহারের মানুষ নীতীশকে এর জবাব সুদে আসলে মিটিয়ে দেবে।’  এদিকে, এর আগে, পাটনায় বিজেপি তার সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক বসে পাটনায়। এর আগে, ২০২২ সালে বিজেপির এনডিএর হাত ছেড়ে নীতীশ গড়েছিলেন মহাগঠবন্ধন, আরজেডির সঙ্গে। সেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে ২০২৪ লোকসভা ভোটের খানিক মাস আগেই নীতীশ এবার চলে গেলেন বিজেপির এনডিএ শিবিরে। এদিকে, ইন্ডি জোট থেকে নীতীশের বেরিয়ে আসার কারণ ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। দলের বর্ষীয়ান নেতা কেসি ত্যাগী বলছেন, ‘কংগ্রেস ভারত জোটের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। ১৯ ডিসেম্বর যে বৈঠকটি হয়েছিল, একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, ভারত জোটের নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য, মল্লিকার্জুন খার্গের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল (প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে)… এর আগে, মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর মুখ, ভারত জোট কাজ করবে।’