জামিন পেলেন নোবেলজয়ী ইউনুস, বাংলাদেশ সরকারকে দুষলেন অর্থনীতিবিদ

বাংলাদেশের আদালতে জামিন পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অপরাধে তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। জামিন পাওয়ার পরেই এই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন অর্থনীতিবিদ। আগামী ৩ মার্চ তাঁর শুনানি হবে। তাঁকে সাজা ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। আর জামিন পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করলেন ইউনুস।

আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের ৬ মাসের জেল, রায় দিল ঢাকা শ্রম আদালত

২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান ইউনুস। দরিদ্র উদ্যোক্তাদের ছোট ব্যবসা শুরু করতে সহায়তা করতে ক্ষুদ্রঋণ এবং ক্ষুদ্র ঋণদানের জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন। গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় ড. ইউনুসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। এছাড়া, ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে ৩০ দিনের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন পেয়ে যান তিনি। এছাড়া অন্য তিনজনও জামিন পেয়ে যান। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা তাঁকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনুস ছাড়াও অন্য যে তিন পরিচালককে কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাদের নাম হল আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম এবং এম শাহজাহান। অভিযোগ, গ্রামীণ টেলিকম ৬৭ জন কর্মীকে স্থায়ী করতে অস্বীকার করেছিল এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কর্মীদের সহায়তা করার জন্য একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

পৃথক জামিনের আবেদনের পর চারজনকেই প্রাথমিকভাবে এক মাসের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে। এরপর ইউনুস ও তাঁর সহকর্মীরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। রবিবার শ্রম আপিল আদালত ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান এমএ আউয়াল ৪ আবেদনকারীর জামিন মঞ্জুর করেন। আপিলের ওপর মামলার শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই জামিন কার্যকর থাকবে। ইউনুস তাঁর জামিন মঞ্জুরের পর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।। মামলার পেছনে শ্রমিকরা ছিল নাকি সরকার? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেন। ইউনুসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, তাঁর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ২৫ টি যুক্তি দেওয়া হয়েছিল।