Narendrapur Teacher Assult: গ্রেফতার করতে হবে হেডস্যারকে, নরেন্দ্রপুরে শিক্ষক নিগ্রহে কড়া নির্দেশ আদালতের

আশ্বাস দিয়েও পদক্ষেপ করতে পারেননি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নরেন্দ্রপুরে স্কুলের স্টাফ রুমে ঢুকে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ FIRএ নাম থাকা সমস্ত অভিযুক্তকে সোমবার রাতের মধ্যে গ্রেফতারির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সঙ্গে আক্রান্ত শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে স্কুলের স্টাফ রুমে ঢুকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। বেলাগাম চড় – কিল – ঘুসির সঙ্গে চলে অশ্রাব্য গালাগালি। স্কুল চলাকালীন এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। লন্ড ভন্ড হয়ে যায় স্টাফ রুম। সেই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের পরিচালন সমিতির এক সদস্যসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে FIR করেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। ঘটনার পরদিন রবিবার ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের নাম FIRএ ছিল না। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বনহুগলি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি সদস্যেরও।

সোমবার বিষয়টি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উত্থাপিত হলে বিচারপতি বসু সোমবার রাতের মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইমতেয়াজ আহমেদসহ FIRএ নাম থাকা ৪ জনকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ইমতেয়াজ আহমেদ স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পঞ্চায়েত সদস্যরা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন কবে থেকে? একই সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নতুন সেন্টার ইনচার্জ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। সঙ্গে আক্রান্ত শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।

বলে রাখি, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই সাংবাদিকদের মুখে ঘটনার কথা শুনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এই ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবেন।’ তার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটলেও FIRএ নাম থাকা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যার ফলে পদক্ষেপ করতে হল আদালতকে।

আক্রান্ত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক ইমতেয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দুর্নীতির মামলা করায় তাঁদের ওপরে হামলা হয়েছে।