কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে নাবালিকাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাক মেইল করার পরেও নাবালিকা ঘটনার কথা বলে দিতে পারে আশঙ্কায় তাঁকে বিষ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত নাজমুল হক মোল্লা (৩৩)কে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুত্ত অন্যদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, প্রায় ৬ মাস আগে আমার মেয়েকে কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠায় নাজমুল হক মোল্লা। এর পর তাকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে চলে যায়। সেখানে একটি হোটেলে মেয়েকে ধর্ষণ করে নাজমুল। সেই ঘটনার ছবি তুলে রাখে সে। এর পর ঘটনার কথা জানালে সেই ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
এখানেই শেষ নয়। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, এর পর মেয়েকে একাধিকবার ঢোলহাট থানার এলাকার ‘রাতের জোনাকি’ নামে একটি হোটেলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে তার ২ বন্ধুকে দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করায় সে। সেই সব ঘটনারও ছবি তুলে রাখে সে। সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলে, যখন ডাকব তখনই আসতে হবে। এমনকী প্রমাণ লোপাট করতে গত ১৮ জানুয়ারি নাবালিকাকে বিষও খাওয়ানো হয়। যদিও কোনওক্রমে বাড়ি ফিরে নাবালিকা পরিবারকে সব কথা জানায়।
গত ২১ জানুয়ারি ঢোলহাট থানায় নাজমুল হক মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত নাজমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে নাবালিকার পরিবার। দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা। ধৃতকে জেরা করে বাকি ২ অভিযুক্তের নাম জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।