Primary Teacher Recruitment: উঠল সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে রইল না কোনও বাধা

প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে প্রাথমিকের ১১,৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। ওই পদগুলিতে নিয়োগের জন্য আগেই নিয়োগপত্র তৈরি করে রেখেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দিতে সরকার তৈরি।

২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করতে ডিএলএড যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক করে কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে আদালত নির্দেশ দেয় বিএড ডিগ্রি প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। আদালতের এই নির্দেশের পরে ২০২০ সালে বহু চাকরিপ্রার্থী ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হন। তাদের কোর্স শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর ফলে ২০২২ সালের বিজ্ঞপ্তি জারির সময় যারা ডিএলএডের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা শূন্যপদের জন্য বিবেচিত হবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় আগে থেকে ডিএলএড যোগ্যতা থাকা ও ডিএলএড যোগ্যতার অপেক্ষায় থাকা দুপক্ষই। এই মধ্যে সম্পন্ন হয় প্রাথমিকের নিয়োগের ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট। যদিও নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার সর্বোচ্চ আদালত সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে প্রাথমিকে ১১,৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না।

বলে রাখি, গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতায় আদালতকে রাস্তা করে দিতে অনুরোধ করেন। তার পরই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এল খুশির খবর। সূত্রের খবর, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগপ্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।