সাইবার প্রতারণার জেরে মৃত্যু তরুণীর, কলকাতার ফারুককে ধরল কার্গিল পুলিশ

সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন লাদাখের কার্গিলের এক তরুণী। তারপরেই তরুণীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় কলকাতার যুবককে গ্রেফতার করল কার্গিল পুলিশ। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় খিদিরপুর থেকে ওই যুবককে কার্গিল পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম ফারুক খান। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কার্গিল জেলার জান্সকার এলাকায় একটি নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।

আরও পড়ুন: সেনার পোশাকে ছবি দিয়ে প্রতারণা, ফ্ল্যাট বিক্রিতে ৮৫ হাজার খোয়ালেন গদর ২ অভিনেতা

জানা গিয়েছে, ওই তরুণী গত ২৬ নভেম্বর উফতি গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। প্রায় দেড় মাস পর তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কার্গিল এলাকায়। বিক্ষোভ এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ প্রথমে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল। মঙ্গলবার এই মামলায় কলকাতা থেকে দ্বিতীয় জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কার্গিল পুলিশের দাবি, মেয়েটি সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁর বহু টাকা লেনদেন হয়েছিল মোমিনপুর রোডের বাসিন্দা ফারুখ খানের কাছে। প্রায় ৫৭,৮৩৮ টাকা স্থানান্তর হয়েছিল তার কাছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার আমতলা শাখায় ওই টাকা জমা পড়েছিল। 

সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, লাদাখ পুলিশ ১০ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড চেয়েছিল। কীভাবে তরুণীর মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তের মধ্যে একাধিক লেনদেন হয়েছিল তা আরও তদন্তের প্রয়োজন। বিচারক লাদাখ পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন ঘটনা। এখন কীভাবে সেই লেনদেন হয়েছে বা আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে সে সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চায় কলকাতা পুলিশ।

তদন্তকারী অফিসার কলকাতা পুলিশকে জানায়, তরুণীর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বর, কেওয়াইসির তথ্য, প্যান কার্ডের তথ্য এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টগুলি পাওয়া গিয়েছে। এগুলিই অভিযুক্ত ফারুখের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রমাণ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বরে নিখোঁজ হওয়ার পর ২৯ নভেম্বর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করে। পরে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পদুমের কাছে লুংনাক নদী থেকে তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।