Narendrapur teacher assault: নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ, স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল পর্ষদ

নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলেছে আদালত। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলেও নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের। আর এবার প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদকে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মূলত হাইকোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণের কারণে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আদালতের আদেশ অমান্য! কেন ধরা গেল না শিক্ষক নিগ্রহকারীদের, রিপোর্ট তলব বিচারপতির

সামনেই রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতে কে সুপারভাইজার হবেন? তাই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। তবে সে ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে নরেন্দ্রপুর কাণ্ডে এখনও সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন তাদের গ্রেফতার কড়া যাচ্ছে না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর প্রধান শিক্ষকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের ভাই ওই স্কুলেরই পার্শ্বশিক্ষক। তাঁর হাত দিয়েই নাকি স্কুলের আলমারি ও চাবির গোছা পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। 

প্রসঙ্গত, শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। সকালে স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময় প্রায় ২০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা টিচার্স রুমে বসে ছিলেন। আবার অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা ক্লাসে ছিলেন। তখন বাইরে থেকে ২০ জন লোক এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এরপর তারা টিচার্স রুমে ঢুকে গিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের উপর আচমকা হামলা চালায়। লণ্ডভণ্ড করে দেয় টিচার্স রুম। 

মূলত এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হয়। সেই অভিযোগে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন শিক্ষকরা। তাঁরা পালটা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তাদের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষক একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার প্রতিবাদ করার জন্যই তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এরপরে মামলা উঠে কলকাতা হাইকোর্টে। এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।