TMC flags surround Gandhi statue: মেয়ো রোডে গাঁধীমূর্তিকে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা, ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

মোয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির চারপাশে লাগানো তৃণমূলের পাতাকা। তা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে একে ‘দৃশ্য দূষণ’ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন দলের অনুষ্ঠান ছিল বলেই পতাকা লাগানো হয়েছে। তার কথায়, ‘গান্ধীজি তো কারও একার নয়।’ 

মঙ্গলবার গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে মেয়ো রোডে কর্মসূচি ছিল রাজ্য সরকারের। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও। তিনি গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। সেই সময় গান্ধীজির মূর্তির চারপাশে তৃণমূলের পাতাকার ছড়াছাড়ি দেখে দৃশ্যদূষণ বলে মন্তব্য করেন।  

পডুন: বামনগোলায় ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, রাজ্যকে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

রাজ্যপালের এই মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টাপাধ্যায় সাংবাদমাধ্যকে  বলেন, ‘এখানে দলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তাই পাতাকাগুলি লাগানো হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী তৃণমূলের একার নয় সবার। গোটা পৃথিবীর।’

পড়ুন:  বাসে করে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের পৌঁছে দেবে সরকার, কারা সেই সুবিধা পাবে?

তবে বিজেপি সরাসরি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘বাংলায় গান্ধীজি আছেন নাকি? নেতাজি আছে নাকি? বাংলায় গান্ধীজি নেতাজি সবের মিশেল এক জনই । যিনি ১৯ টি ভাষা জানেন। সব বিষয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞান। তাই এখানে আর কাউকে লাগবে না।’

প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিবসে শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে ছিল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া, বিজেপি-র বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষী আচরণের অভিযোগ, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ছিল এই কর্মসূচি। ‘চলো পাল্টাই’ নামে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ওই দিন থেকে। বিভিন্ন জেলায় আগামী ৪৫ দিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে। ৪ মার্চ শেষ হবে এই কর্মসূচী। এই কর্মসূচির জন্য মোয়ো তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। 

পড়ুন। মমতার মুখে ‘সিনিয়র লিডার’ ডাক শুনেই উধাও অভিমান, কী বলছেন ‘বিদ্রোহী’ করিম?