Corruption: চিঠিতে TMC নেতার নাম, দুর্নীতির নালিশ সরকারি অফিসারের, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ আদালতের

দুর্নীতির কাঁটায় বার বার বিদ্ধ হচ্ছে বাংলার শাসকদল। শিক্ষক নিয়োগ, রেশন দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। তার মধ্য়েই এবার একেবারে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের কাছে চিঠি লিখলেন এক সরকারি আধিকারিক। এমনকী সেখানে তিনি একাধিক তৃণমূল নেতার নামও উল্লেখ করেছেন। এদিকে সেই চিঠি পাওয়ার পরে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে জিটিএতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও নানা দুর্নীতি হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে শাসকদলের দুজন নেতার নামও তিনি উল্লেখ করেছেন। এমনকী তাঁর মধ্য়ে একজন শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু অপর একজন বর্তমানে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে বিচারপতি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্য়ে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

সেই চিঠিতে একেবারে দুই নেতার মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই মোবাইল নম্বরে যে কথোপকথন হয়েছে বা যে বার্তা আদানপ্রদান হয়েছে তা নিয়েও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এদিকে মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষক সম্প্রতি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু এমন লোভনীয় চাকরি থেকে কেন তিনি ইস্তফা দিলেন তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে। তবে যেটা প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে তার চাকরি হয়তো ঘুরপথেই হয়েছিল। তার জেরেই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এই চিঠিকে ঘিরে সরকারের অন্দরেও শোরগোল পড়েছে। কেন তিনি এই ধরনের চিঠি লিখলেন, এর পেছনে তাঁর আসল উদ্দেশ্য় কী রয়েছে তা নিয়েও এবার নানা কথা উঠছে। তিনি ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকে এই চিঠি লিখেছেন কি না সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। 

এদিকে হাবরার এক নেতার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন তিনি। রেশন দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি ওই নেতার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি আগে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকলেও বর্তমানে তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই চিঠি লিখতে কি অন্য় কেউ তাকে উৎসাহ দিয়েছিল?