Teacher Transfer Scam: পাড়ায় সমাধান শিবিরে শিক্ষক বদলি! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

‘পাড়ায় সমাধান’ শিবিরে শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে কোন আইন মেনে? মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে সেই প্রশ্নের জবাব চেয়ে হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, এব্যাপারে কি কোনও তথ্য ছিল পর্ষদের কাছে? পাড়ায় সমাধান ক্যাম্পে শিক্ষক বদলিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকদেরই একাংশ।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৮৭ জন শিক্ষককে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই বছর ২২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট স্কুলে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বদলি হওয়া শিক্ষকরা জানান, তাঁরা কোথাও কোনও বদলির আবেদন করেননি। অথচ তাঁদের বদলি করা হয়েছে। কয়েকজনকে তাদের বর্তমান স্কুল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে স্কুলে বদলি করা হয়েছে। নির্দেশনামায় লেখা ছিল, এটা সাধারণ বদলি। পরে জানা যায় এভাবে গোটা রাজ্যে মোট ৬০১ জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়ার শিক্ষকরা নতুন স্কুলে যোগদান করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কোন নিয়মে পাড়ায় সমাধান ক্যাম্প থেকে শিক্ষক বদলি হয়েছে তা ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে পর্ষদকে।

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পাড়ায় সমাধান শিবিরে অনেকে অভিযোগ করেছেন তাঁদের সন্তানরা যে স্কুলে পড়ে সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা কম। তাই আসে পাশের স্কুলের কোনও শিক্ষককে সেই স্কুলে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়া একজন শিক্ষককে এভাবে বদলি করা যায় কি? এর পিছনেও কি কোনও দুর্নীতি রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে হাজারটা।