আইন কমিশন সুপারিশ করেছে যে ফৌজদারি মানহানি ভারতীয় ফৌজদারি আইনের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার এনিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সম্মান রক্ষার অধিকার থাকা দরকার। এটা সংবিধানের ২১ ধারা থেকে এসেছে।আইন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্মানের বিষয়টি একটা সম্পদ। এটা তৈরি করতে গোটা জীবন লেগে যায়। কিন্তু এক লহমায় সেটা ভেঙে দেওয়া যায়।
এবার এই নয়া আইনে এই সম্মানরক্ষার বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে এটা করা দরকার বলে জানা গিয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।
আইনমন্ত্রক গত ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে এই বিষয়টি জানিয়েছিল আইন প্যানেলকে। সম্মানহানি হয় এমন মন্তব্য়কে কথা বলার অধিকার ও ভাব প্রকাশের অধিকারের সঙ্গে সংঘাত বলে মনে হতে পারে।
এই প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যকে তখনই অবৈধ বলে গণ্য় করা হবে যখন সেটা কারোর ক্ষতি করে দেবে। যখন যথাযথভাবে ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হবে।
এই শাস্তির ব্যাপারে প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ অনুসারে কমিউনিটি সার্ভিসকেও অতিরিক্ত জরিমানা বলে গণ্য করা হচ্ছে।
এই প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি( অবসরপ্রাপ্ত) ঋতূরাজ অবস্তি,( তিনি এর আগে কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন) তিনি জানিয়েছেন, কারোর সম্মানহানি করাটা কারোর প্রতি শুধু আঘাত এটা নয়, এটা সমাজের প্রতি আঘাত। সেক্ষেত্রে এই ধরনের অপরাধ করলে সামাজিক পরিষেবা দানের মতো শাস্তি আরোপ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত তিল তিল করে তৈরি করা মর্যাদা, সম্মানকে একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক মুহূর্তের মধ্য়ে। কিন্তু এবার তা নিয়েই বড় সুপারিশ দিল আইন কমিশন। এমন কথা বলা হয় যার জেরে সম্মান হানি হয়। মর্যাদা নষ্ট করা হয়। এবার সেটা করতে গেলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।