আবার আসানসোলে প্রার্থী হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা, দলীয় নেতাদের জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো

কৃষ্ণনগরের পর আসানসোল। লোকসভা নির্বাচনের টিকিট কনফার্ম করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনিই। বাবুল সুপ্রিয়কে দলে নেওয়ার পর আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। তখন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকেই আসানসোলে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিতে নেয়। এবারও এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সূত্রের খবর, শুক্রবার দলের পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে রামের বিরুদ্ধে শত্রুকে দাঁড় করিয়ে দিলে সেটা বেশ চ্যালেঞ্জের হবে গেরুয়া শিবিরের কাছে। শত্রুঘ্ন সিনহা বিহারের ‘ভূমিপুত্র’ হওয়ায় একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। তারপর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়। এমনকী জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজও করেছেন বিহারীবাবু। এখানের মানুষের সঙ্গে সরাসরি তাঁর সংযোগ রয়েছে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। সেখানে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দু’বারের জেতা আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এবারেও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বিজেপি।

অন্যদিকে এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। মঞ্চের পিছনে যে দু’টি অস্থায়ী অফিস আছে সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য সেখানেই বৈঠক হয়। ওখানেই পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থীর কথা জানিয়ে দেন নেত্রী। সুতরাং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি আগে বিজেপি করেছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রীও হন। মোদী–শাহের সঙ্গে তাঁর কেমিস্ট্রি জমেনি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সাংসদ হন শত্রুঘ্ন সিনহা। ধরনা মঞ্চে এসে আসানসোলের সাংসদ বলেন, ‘রামকে আমরাও শ্রদ্ধা করি। আমাদের বাড়ির নাম রামায়ণ। আমরা চার ভাই। আমাদের নাম রাম, লক্ষ্মণ, ভরত এবং শত্রুঘ্ন। কিন্তু রামকে নিয়ে রাজনীতি কখনও হতে দেখিনি।’

আরও পড়ুন:‌ Budget 2024: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে কমিটি গড়লেন নির্মলা সীতারামন, নেপথ্য কারণ কী?‌

এছাড়া রামমন্দির উদ্বোধন থেকে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা—দেখেছে গোটা দেশ। সেটা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন বিজেপির নেতা–মন্ত্রীরা। বঙ্গ–বিজেপির নেতারাও এই নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা পছন্দ করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একটাই স্লোগান, ‘‌ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’‌ আর গোটা বিষয়টি নিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘আমি ২৭ বছর বিজেপি করেছি। বাজপেয়ীজিকে দেখেছি। তিনি ছিলেন সদ্ভাবনার সাগর।’ এই বিজেপি যে সেটা নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সাংসদ– অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তাই এবার বিজেপিকে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে আবার হারাতে চান শত্রুঘ্ন। তাই সংগঠনের দায়িত্ব দলনেত্রী এখানে মলয় ঘটককে দিয়েছেন।