‘‌আমাদের যা করার তা একজোটে করা উচিত’‌, মমতার মন্তব্যের জবাব দিলেন জয়রাম

বাংলায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা এসেছিল। আর তা নিয়ে শুক্রবার তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী প্রশ্নও তুলেছিলেন যে, রাহুল গান্ধী বাংলায় না ঘুরে উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছেন না কেন? লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪০টি আসন জিততে পারবে!‌ সংশয় প্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার এসবের জবাব দিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ। তবে তাতে জোট বিরোধী কোনও কথা নেই। বরং একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তবে বাংলায় জোট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।

এদিকে বাংলায় জোট না হলে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেখানে লড়াই করতে হবে এই রাজ্যে কংগ্রেসের দুটি জেতা আসন বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ। হেরে গেলে সেটাও যাবে কংগ্রেসের। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আজ, শনিবার জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‌আমরা আশা করছি, উনি এখনও বিরোধী জোট ইন্ডিয়ারই সদস্য এবং ওঁর দাবি অনুযায়ী, উনি এখনও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এখানে শুধু একটাই লক্ষ্য, বিজেপি ও আরএসএসের নীতির বিরুদ্ধে লড়াই।’‌ আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

অন্যদিকে সেখানে গিয়ে সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ, বারাণসী, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে হারিয়ে দেখাক যদি তাদের সাহস থাকে। এমনই আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। জবাবে জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‌ওঁর দাবি অনুযায়ী, ওঁর অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা। আমরাও তাই চাই। তাই আমাদের যা করার তা একজোটে করা উচিত। কারণ মনে রাখতে হবে এই নির্বাচন কোনও স্থানীয় নির্বাচন নয়।’‌ সুতরাং জোটের পথ খোলা রাখা হচ্ছে। আর একলা চলার নীতি নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌একশো দিনের বকেয়া টাকা দেবে রাজ্য সরকার’‌, তারিখ দিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা

এছাড়া যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এবং মন্তব্য করেছেন দেশের একমাত্র মহিলা বিরোধী নেত্রী তাতে কংগ্রেসের আঁতে ঘা লেগেছে। তাই জয়রাম রমেশ আজ বলেন, ‘‌রাহুল গান্ধীর যাত্রা নিয়ে মমতাজির সন্দেহ থাকা উচিত নয়। রাহুল উত্তরপ্রদেশে ১১ দিন যাত্রা করবেন। তার পর মধ্যপ্রদেশে যাবেন, গুজরাটে যাবেন। ২০ মার্চ মুম্বইতে যাত্রা শেষ হবে। উনি কংগ্রেসকে নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। কিন্তু আমি কোনও কথাই বলতে চাইছি না। মমতাজি এখনও ইন্ডিয়া জোটে রয়েছেন। আমরাও ইন্ডিয়া জোটে রয়েছি। জোটের শরিকদের উচিত জোটকে জাতীয় স্তরে শক্তিশালী করা। তাই রাজ্যস্তরের বাধ্যবাধকতাকে পাশে সরিয়ে রেখা সবার একটাই লক্ষ্য, কেন্দ্রে বিজেপিকে পরাস্ত করা।’‌