আলু আমদানি শুরু, ৩০ টাকায় নামলো কেজি

দেড় মাস পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। এর ফলে স্থলবন্দরের এই বাজারে পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে খুশি বন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী ও নিম্নআয়ের মানুষজন।

শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে আলুবাহী ট্রাক দেশে ঢোকার মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে তিন ট্রাকে ৭৫ টন আমদানি হয়েছে। এদিকে আমদানির খবরে হিলি বাজারে কমেছে দাম। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত খুচরা বাজারে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আলু ছাড়করণ কাজে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহমেদ কবির বাবু বলেন, ‘বর্তমানে দেশে আলুর মৌসুম। এরপরও দাম কমছে না, উল্টো বাড়ছে। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। শনিবার এলসির বিপরীতে ১০০ মেট্রিক টন আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমদিন তিন ট্রাকে ৭৫ টন আমদানি হয়েছে। আজ আরও ২৫ টন আমদানির কথা রয়েছে।’ 

ভারত থেকে প্রতি টন আলু ১৫০ ডলারে আমদানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে আহমেদ কবির বলেন, ‘দেশে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে কেজিতে সাত টাকা। আমদানি খরচ ও শুল্ক মিলিয়ে আলুর কেজি বন্দরে এসে পৌঁছাতে দাম পড়ছে ২৭-২৮ টাকা। ফলে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে পারবো আমরা। তবে কাস্টমসে শুল্ক আদায় কমলে ২৫ টাকার নিচে নেমে যেতো দাম।’

আমদানি শুরুর খবরে গত দুই দিন ধরে বাজারে আলুর সরবরাহ বেড়ে গেছে উল্লেখ করে হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এজন্য ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি আমরা।’

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৫০ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। শনিবার বিকাল থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব আলু ছাড় করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর আলু আমদানি হয়েছিল জানিয়ে স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আবারও অনুমতি পাওয়ায় দেড় মাসের বেশি সময় পর শনিবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৫ টন আমদানি হয়েছে। কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আমদানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন ও শ্রমিকদের আয় বাড়বে।’  

প্রসঙ্গত, সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশে আলুর দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৩০ অক্টোবর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকে আমদানি বন্ধ ছিল।