World Cancer Day: আগামী ২৫ বছরে ক্যানসার বাড়বে ৭৭ শতাংশ, এখন থেকেই সতর্ক করল WHO

আগামিকাল অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস। তার আগেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পূর্বাভাস দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই ক্যানসার আরও মারাত্মক আকার নিতে চলেছে। এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO। ২০৫০ সালের মধ্যে নতুন করে ক্যানসার আক্রান্তের হার ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি)।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে আইএআরসি এই পূর্বাভাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএআরসি জানায়, ২০২২ সালে আনুমানিক ২০ মিলিয়ন নতুন ক্যানসারের ঘটনা ঘটেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ক্যানসার এজেন্সির পূর্বাভাস অনুসারে, বিশ্বব্যাপী নতুন ক্যানসারের সংখ্যা ২০৫০ সালে ৩৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি।

আইএআরসি পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২২ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে আনুমানিক ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষর মৃত্যু হয়েছে। ১৮৫ টি দেশে ৩৬ ধরনের ক্যানসারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যার প্রভাবে এতো অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে আইএআরসি তার দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি ২০৫০ সালের জন্য এমন আভাস দেয়।

(আরও পড়ুন: সামান্য অসাবধান হলেই জরায়ুর ক্যানসার অনিবার্য! কীভাবে বাঁচবেন এই মারণ রোগের হাত থেকে? রইল উত্তর)

প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তাদের জীবদ্দশায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। প্রতি নয়জন পুরুষের মধ্যে একজন পুরুষ এবং ১২ জন নারীর মধ্যে একজন নারী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বলেও জানায় সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধমান ক্যানসারের কারণ হিসেবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত ঝুঁকিকে দায়ী করছে সংস্থাটি। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে তামাক ও অ্যালকোহল আসক্তিতা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ ক্যানসার ঝুঁকি বাড়ার মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছে আইএআরসি। এছাড়াও ১১৫টি দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে WHO। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ তথ্য। অধিকাংশ দেশই ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যথাযথ অর্থ বরাদ্দ করে না। আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ক্যানসার বৃদ্ধি পাবে ৭৭ শতাংশ- এই কথাও ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে।