প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে জনসংযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী, হাতের তালুতে তুলে নেন বাস্কেট বল

কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা। শুক্রবার রাত ধরনা মঞ্চেই কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ, শনিবার সকালে তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা গেল। তখনও মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর এই আন্দোলন সঠিক বলে প্রাতঃভ্রমণে আসা মানুষজন জানিয়েছেন। তাতে আরও অক্সিজেন পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই ময়দান সংলগ্ন এলাকায় যাঁরা বাস্কেট বল খেলছিলেন, তাঁদের সঙ্গে বল নিয়ে হালকা মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। এই দৃশ্য দেখে অনেকে এগিয়ে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী কেমন আছেন?‌ খোঁজখবর নেন। কেউ কেউ নমস্কার জানান।

এদিকে আজ, শনিবার ভোরে যথেষ্ট কুয়াশা ছিল। বিমানবন্দর থেকে উড়ান ছাড়তে দেরি হয়। কিন্তু ওই কুয়াশাকে গায়ে মেখেই দৃঢ় মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোড চত্বরে হেঁটে চলেন। আত্মবিশ্বাসের সেই হাঁটা দেখেছেন অনেকেই। ধরনা মঞ্চে রাত কাটিয়ে সকালে রেড রোডের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হাঁটতে বেরোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বাক্সেট বল গ্রাউন্ডে খেলা করছিলেন কয়েকজন। সেখানে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন। বাস্কেট বল খেলেন। আর তারপর সটান হাঁটা। গোটা রেড রোড হাঁটেন তিনি। তারপর তিনি ফিরে যান ধরনা মঞ্চে। আজ কলকাতার পুলিশ কমিশনার এখানে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ১০০ দিনের কাজ করে যাঁরা টাকা পাননি তাঁরা আসেন মঞ্চের কাছে। তৃণমূলনেত্রী সকলকে বসতে বলেন। এমনকী বিশ্রাম নিতে বলেন দূর থেকে এসেছেন বলে। আজও বকেয়ার দাবিতে রেড রোডে ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। আজ তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ধরনা কর্মসূচি। দলের বাকি নেতা–নেত্রীরা তা চালিয়ে নিয়ে যাবেন। কারণ তাঁর আবার নয়াদিল্লি সফর রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌সব হিসেব দিয়েছি। কেন্দ্র সব বিভাগেই ৩০ শতাংশ করে কমিশন নিচ্ছে। তাই আমি কড়া চিঠি দিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে।’‌

আরও পড়ুন:‌ বাঁ–পায়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল পুরুলিয়ার খেরোয়াল, ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ সকলের

মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ মারাত্মক। যা কমব্যাট করতে এখনও নামেনি বিজেপির কোন নেতা–নেত্রী। ৮ তারিখ বাজেট অধিবেশন রয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। সেখানে বিষয়টি উঠতে পারে। তবে নাম না করে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‌বাংলায় ন্যায় যাত্রা কেন? বুকের পাটা থাকলে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কেন করছো না? রাজস্থান গিয়ে হারিয়ে এসো, মধ্যপ্রদেশে গিয়ে হারিয়ে এসো।’‌ ন্যায় যাত্রায় তাঁকে কেন জানানো হয়নি?‌ এদিন আর একবার একই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।