সহবাসের পর বাবা-মায়ের আপত্তিতে বিয়ে না করতে পারলে সেটা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না, জানাল হাইকোর্ট

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস কোন ক্ষেত্রে ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল বম্বে হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘কোনও ব্যক্তি যদি কোনও মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বাবা মায়ের আপত্তিতে বিয়ে না করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে সহবাস ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।’ এই পর্যবেক্ষণ করে মামলাকারীকে ধর্ষণের এফআইআর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: চাকরি, বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেক্স? প্রস্তাবিত আইনে হতে পারে ১০ বছরের জেল

হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি মহেন্দ্র চাঁদওয়ানি বলেন, ‘মামলাকারী যে মহিলাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্য রেকর্ড থেকে পাওয়া যায়নি। তিনি সে শুধুমাত্র তার লালসা মেটানোর জন্য মহিলাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে বিষয়টিরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। সমস্ত তথ্য থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে মামলাকারী মহিলাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন। তবে বাবা মায়ের আপত্তির কারণে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়েছেন। ফলে এটা কখনই বোঝানো যায় না যে মামলাকারী ব্যক্তি ৩৭৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।’

মামলার বয়ান অনুযায়ী, নির্যাতিতা মহিলা ২০১৯ সালে নাগপুরের বেলতারোদি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তবে ২০১৯ সালে তিনি জানতে পারেন তার প্রেমিক অর্থাৎ মামলাকারীর অন্য পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে, এমনকী বাগদান অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করার পরেই অভিযুক্তকে থানায় তলব করা হয়। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, যে তিনি মহিলাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু, বাবা-মায়ের আপত্তির কারণে তিনি বিয়ে করতে পারেননি।  এই ঘটনার পরেই নাগপুর পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করে। তখন এফআইআর থেকে অব্যাহতি পেতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই এমন পর্যবেক্ষণ করে ওই ব্যক্তিকে এফআইআর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে হাইকোর্ট।