CV Ananda Bose on Central Fund: প্রধানমন্ত্রী আগ্রহী, ভাল খবর শীঘ্রই আসবে, বাংলার বকেয়া নিয়ে বললেন রাজ্যপাল

উপরাষ্ট্রপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্য সিভি আনন্দ বোস। দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে আবারও আশার কথা শোনালেন তিনি। শনিবার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দরে নেমে তিনি বলেন, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে খুব শীঘ্রই ভাল খবর শোনা যাবে।

রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রাখা অভিযোগে রেড রোডে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ধর্না শুরু হয়েছে। সেই সময় দিল্লি ছিলেন রাজ্যপাল। শনিবার ফিরে এসে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলার মানুষের জন্য ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’ 

তিনি এদিন বলেন, ‘রাজ্যের বকেয়া নিয়ে এটা আমার দ্বিতীয় দিল্লি সফর। খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। আটকে রাখা হয়েছে টেকনিক্যাল কারণ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ রাজ্য সরকারের কাছে কিছু ক্লারিফেকশন চাওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় টাকা ছাড়া হবে। আমি একে খুব ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখছি।’

প্রসঙ্গত এর আগে বকেয়া প্রসঙ্গেই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় রাজভবনের সামনে ধর্না বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি এবং তৃণমূলের অন্যান্য প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে দেখা করার পর বোস দিল্লি রওনা দেন। ফিরে এসে তখনও তিনি বলেন আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। এর পর রাজভবনে সামনে থেকে ধর্না তুলে নেন অভিষেক। 

পড়ুন। জায়গাটা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুন’‌, বঙ্গভবন নিয়ে ফোঁস করলেন রাজ্যপাল বোস

এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘আমার ভূমিকা এখানে ব্রিজের মতো। আমি সেই কাজ করতে গিয়েছিলাম। বাংলার মানুষকে সাহায্য করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ দেখে আমি আত্মবিশ্বাসী, খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে।’

জল জীবন মিশনে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রসঙ্গ রাজ্যপাল বলেন, এটা সবেমাত্র শুরু। আরও ইতিবাচক বিষয় খুব শীঘ্রই জানা যাবে।’

প্রসঙ্গত,  রাজ্যের বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে ক্যাগের রিপোর্ট উল্লেখ তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। ক্যাগের রিপোর্ট উল্লেখ করে তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা  প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যাগে রিপোর্টই নিয়ে প্রশ্ন তোলন। 

ধর্না মঞ্চ থেকে  ‘কোনওদিন এটা হয়নি। ২০০৩ সাল থেকে বলছে। আরে ২০০৩ সালে আমি ছিলাম? ২০১১ সাল থেকে দায়িত্ব নেব। সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট গেছে। টোটাল মিথ্য়া কথা। চিঠিটা পড়ে নেবেন। তাতে লেখা আছে প্রতিটা সার্টিফিকেট সময় মতো পাঠিয়েছি। ২ লাখ কোটি টাকা যেটা বলছে পুরো মিথ্যে কথা। ক্যাগের কাছে কোনও তথ্য়ই ছিল না যে কোনটা লিখতে হবে। কী না লিখব! এটা পুরো বিকৃত তথ্য়। এটা বিজেপি দল লিখেছে।’