Thailand Zoo: আক্রমণ করেছিল ভাল্লুক, প্রাণে বাঁচতে নিজের হাতই কেটে দিলেন ব্যক্তি

তেড়ে এসেছিল ভাল্লুক। চোয়ালে চেপে ধরল এক ব্যক্তির হাত। বসালো কামড়। প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে গিয়েও লাভ হল না। তখনও ওই জেদি ভাল্লুকের মুখে আটকে রয়েছে হাতটা। আর কোনো উপায় নেই। পশুর কোনো ক্ষতি না করে নিজের প্রাণে বাঁচাতে নিজের হাতটাই কেটে ফেললেন ব্যক্তি। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিটির বয়স ৩২ বছর। নাম স্টেফান ক্লাউডিও স্পেকোগনা। এশিয়ান কালো ভাল্লুকের প্রজাতি আক্রমণ করেছিল ওই সুইস ব্যক্তিকে।

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইতে, একটি বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনে। স্টেফান ভাল্লুকটিকে খাওয়ানোর সময় ঘটনাটি ঘটে। খেতে খেতে ওই ব্যক্তির ডান হাতটিও কামড়ে ধরে সে। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল ছাড়ানোর জন্য। তবুও কোনো লাভ হয়নি। শেষমেশ প্রাণ বাঁচানোর জন্য পকেটে থাকা ছুড়িটি বের করে নিজের হাতটিই কেটে ফেলেন ওই ব্যক্তি। সূত্রের খবর, ওই ভাল্লুকের হিংস্র আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার পর, স্টেফানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং তারপর অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

খাবার ঠিক মতো চিবিয়ে খান তো? নাহলে প্রাণঘাতী বিপদও ডেকে আনতে পারে এটি! জেনে নিন ভালো করে

হাসপাতালে যাওয়ার সময় স্টেফানের অবস্থা ছিল গুরুতর। কনুই থেকে তিনি কেটেছিলেন হাত। রক্তারক্তি কাণ্ড। ওই অবস্থাতেই তাঁকে চিয়াংদাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের জন্য চিয়াং মাই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন স্টেফান ক্লাউডিও স্পেকোগনা।

  • কোথায় দেখতে পাওয়া যায় এশিয়ান ভাল্লুক?

এশিয়ান ব্ল্যাক বিয়ার বা এশিয়াটিক কালো ভাল্লুক হিমালয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং জাপান সহ পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে পাওয়া যায়। মূলত কীটপতঙ্গ, মধু, ফল, বাদাম, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি খেয়ে বেঁচে থাকে এই প্রাণী। এই ভাল্লুকের বুকে অর্ধচন্দ্রের মতো আকৃতির সাদা চিহ্নের একটি স্বতন্ত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাদামী ভালুক এবং আমেরিকান কালো ভাল্লুকের তুলনায়, এই ভালুকগুলি সাধারণত মানুষের প্রতি বেশি আক্রমণাত্মক হয়। তাই আইইউসিএন রেড লিস্টে, এশিয়াটিক কালো ভাল্লুক একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বন উজাড়, বাসস্থানের ক্ষতি ইত্যাদির মতো পরিবেশগত কারণগুলির কারণে এখন তাদেরও প্রাণ সংশয়ে। প্রধানত, দামি ওষুধ বানানোর জন্য এই ভাল্লুকের চামড়া এবং পিত্তথলির প্রয়োজন পড়ে। তাই এগুলি শিকার করাও হয়৷