Kidnapped in Kolkata: খাস কলকাতায় পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে অপহরণ, কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার যুবক

খাস কলকাতায় পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে যুবককে অপহরণ করল দুষ্কৃতীরা। মুক্তিপণ বাবদ দুষ্কৃতীরা কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। যদিও অপহরণকারীদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। রাতেই অভিযান চালিয়ে যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি হরিদেবপুর থানা এলাকার কবরডাঙা মোড়ের। স্বাভাবিকভাবেই শহর কলকাতায় এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। 

আরও পড়ুন: কম্পিউটারের জন্য অপহরণ! নাবালককে খুনের আগে রসগোল্লা ও ঠান্ডা খাওয়ায় অভিযুক্তরা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের নাম নীতিন সাউ। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জুলপিয়ার বাসিন্দা। তার বাবা হলেন একজন বড় ব্যবসায়ী। শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী একটি স্করপিও গাড়িতে করে এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যুবককে অপহরণ করে। অপহরণের পর মুক্তিপণ বাবদ অপহরণকারীরা সাউয়ের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। জানা গিয়েছে, নীতিন প্রায়ই হরিদেবপুরের একটি বারে আসতেন। বারে এসে তিনি প্রচুর টাকা খরচ করতেন। এদিন রাতে ওই বার থেকে বেরোতেই দুষ্কৃতীরা তার পিছু নেয় এবং তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সাধারণ মানুষের সন্দেহ এড়াতে গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল।

তবে তাতে সন্দেহ হয় নীতিনের বন্ধুদের। তারাই পুলিশে খবর দেন। পরে সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। এরপর বারের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হরিদেবপুর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হানা দেয়। এরপরে যুবককে উদ্ধার করা হয়। 

ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে যুবককে জোর করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে, আর তার বন্ধুরা তাতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অপহরণকারীরা গিয়ে যুবক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার বন্ধুরা পুলিশকে খবর দেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় মোট তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া অপহরণের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কী কারণে নীতিনকে অপহরণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে জানা গিয়েছে, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ বাবদ ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ওই যুবককে অপহরণের চেষ্টা করছিল। সেই কারণে কয়েকদিন ধরে তারা যুবকের গতিবিধি লক্ষ্য করছিল। উল্লেখ্য, নিতিন সাউয়ের একটি কোম্পানি আছে যার নাম বাকেশ্বর ওএনজিসি।