Sourav Ganguly: ''শুধু টার্নিং পিচেই খেলবে কেন ভারত?'', বুমরার দুরন্ত বোলিংয়ের পর কী বললেন সৌরভ?

<p style="text-align: justify;"><strong>কলকাতা:</strong> ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ মানেই টার্নিং ট্র্য়াকে প্রতিপক্ষ শিবিরকে আক্রমণ। এই বাঁধা ছকেই বারবার ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) খেলে এসেছে। কিন্তু বর্তমান <a title="ভারতীয় দল" href="https://bengali.abplive.com/topic/indian-cricket-team" data-type="interlinkingkeywords">ভারতীয় দল</a>ে পেস আক্রমণ অনেক বেশি উন্নত। শামি, বুমরা, সিরাজরা ধারাবাহিক বিশ্বের যে কোনও পিচেই ভাল পারফর্ম করতে পারেন। এমনকী গতকাল বিশাখাপত্তনমের পিচেও একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বুমরা। যা দেখে পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মনে করেন, যদি ভারতের এত উন্নতমানের পেসার থাকে, তো স্পিনিং ট্র্যাকেই কেন শুধু আক্রমণের জন্য ভাবা হবে প্রতিপক্ষকে।</p>
<p style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড ২৫৩ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। যার নেপথ্যে ছিল বুমরার ৪৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। সৌরভ নিজের X হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ”আমাদের দলে বুমরাহ, শামি, সিরাজ, মুকেশের মতো পেস বোলার রয়েছে। তার পরও কেন ভারত দেশের মাটিতে টার্নিং পিচ বানায়? এটা বেশ অবাক করার মতো বিষয়। আমার তো মনে হয়, ভালো পিচে খেললে প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করা যায়। অশ্বিন, জাদেজা, কুলদীপ, অক্ষরদের মতোই ভারতীয় পেসাররাও যে কোনও পিচে ২০ উইকেট নিতে পারে। গত ৬-৭ বছর ধরে ভারতের ব্যাটিংয়ের মানের পতনের কারণই হল দেশের মাঠের এইরকম পিচ। ভালো পিচ হলেও ভারত পাঁচ দিনে টেস্ট জিততে পারবে।”</p>
<p style="text-align: justify;">গতকাল,&nbsp;ইংল্যান্ডের ২ ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি দলের হয়ে শুরুটা খুবই ভালভাবে করেন। মাত্র ৮.৩ ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে ইংল্যান্ড। অবশেষে কুলদীপ যাদব ডাকেটকে ১৭ রানে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। সঙ্গীকে হারিয়েও ক্রলি কিন্তু নিজের আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাটিং করতে থাকেন। মাত্র ৫২ বলে নিজের অর্ধ শতরান পূরণ করেন তিনি। গত ম্যাচের শতরানকারী অলি পোপ ও ক্রলি দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন। ছন্দে দেখানো ক্রলি অক্ষর পটেলের বলে ৭৬ রানে আউট হন।</p>
<p>এরপর বুমরা জো রুট এবং পোপ উভয়কেই স্বল্প রানের ব্যবধানে ফিরিয়ে ভারতে জোড়া সাফল্য এনে দেন। ১৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। স্টোকস এবং বেয়ারস্টো দ্বিতীয় সেশনে যাতে আর কোনও উইকেট না পড়ে তা সুনিশ্চিত করেন। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বেয়ারস্টোকে ২৫ রানে ফিরিয়ে বুমরা ফের একবার ভারতকে সাফল্য এনে দেয়। এরপর কুলদীপ যাদব বেন ফোকসকে ৬ রানে বোল্ড করেন। চাপের মুখে স্টোকস এবং হার্টলি ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রানের ইনিংস। শেষমেশ ২৩৯ রানে শেষ হয় তাঁদের ব্যাটিং। ৬ উইকেট পান বুমরা। এই ৬ উইকেটের সুবাদেই টেস্টে ১৫০ উইকেটের গণ্ডি পার করে ফেললেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার।&nbsp;</p>